ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্ক খুলনা উপকূলে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২২
বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্ক খুলনা উপকূলে

খুলনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে আছেন খুলনার উপকূলীয় উপজেলার লাখ মানুষ।

জোয়ারের পানির তোড়ে কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকার উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

খুলনা উপকূলের ৮৭৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে বর্তমানে ৪৫ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, উপকূলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি টেকসই বেড়িবাঁধ। এলাকাবাসীর জোরালো দাবি সত্ত্বেও এখনো টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। যার কারণে দুর্যোগ আসলেই আতঙ্কে বুক কাঁপে উপকূলবাসীর। যদিও আম্পান ও ইয়াসের পর ষাট দশকের জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ব্যাপক কাজ করেছে। তবে কিছু এলাকায় কাজ না করায় আতঙ্ক বেড়ে গেছে সেসব এলাকার মানুষের। বিশেষ করে ঝুঁকির মুখে রয়েছে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং, মাটিয়াভাঙ্গা। কয়রা সদর ইউনিয়নের মদিনাবাদ লঞ্চঘাট ও মদিনাবাদ তফসিল অফিসের সামনে থেকে হামকুড়ার গড়া। মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া ও সুতির কোণা।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় অশনির দুর্যোগ মোকাবিলায় খুলনা জেলায় সরকারি ৩৪৯টির পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি মিলিয়ে ৮১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব। দুর্যোগ পূর্ব ও পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য দুই হাজার ৪৬০টি সিপিবির স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। পাশাপাশি এনজিওর এক হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, খুলনা উপকূলের ৮৭৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে বর্তমানে ৪৫ কিলোমিটার ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এর মধ্যে দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটার ৬ কিলোমিটার অধিক ঝুকিপূর্ণ। বর্তমানে দাকোপের ৩১, ৩২ ও বটিয়াঘাটার ২৯ পোল্ডারে বাঁধে জরুরি মেরামত কাজ চলছে। ঘূর্ণিঝড়ে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।