নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে দিনরাত তান্ডব ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় দেড় হাজার পাওয়ার লুম শ্রমিককে আসামি করেছেন বাদী বিআরটিসি বাসের আহসান উল্লাহ নামে এক চালক।
বুধবার (২৫ মে) দুপুরে মামলাটি করেন তিনি। তবে মামলায় আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বিশনন্দী ফেরীঘাট আসার পথে রামচন্দ্রদী পৌঁছালে এক থেকে দেড় হাজার পাওয়ার লুম শ্রমিকের আন্দোলন থেকে দেড়শ’র মতো শ্রমিক বাসটি ঘিরে ভাংচুর করে। তারা বাসে উঠে গালিগালাজ করে এবং চালক আহসান উল্লাহকে লাঠিসোটা, রড দিয়ে মারধর করে। এ ছাড়াও ইট দিয়ে ঢিল ছুঁড়ে বাসে। স্থানীয়রা ও পুলিশ এগিয়ে আসায় প্রাণে বেঁচে যান চালক। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেন।
মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুর থেকে উপজেলার গোপালদী, রামচন্দ্রদী, বিশনন্দী ফেরীঘাট, কড়ুইতলা, ঢাকা গোপালদী সড়ক অবরোধ করেন কয়েক হাজার পাওয়ার লুম শ্রমিক। সন্ধ্যার পর তারা সহিংস হয়ে ওঠে। শতাধিক যানবাহন ভাংচুরসহ তারা সহিংসতার চেষ্টা চালায়। পরে শিল্প পুলিশের সদস্যরা লাঠিচার্জ করে এবং ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা প্রথমে ঢাকা-বিশনন্দী আঞ্চলিক মহাসড়কের রামচন্দ্রদী এলাকায় অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, লাগাতার নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই কারখানা মালিকদের কাছে প্রতি গজ গ্রে কাপড়ে এক টাকা করে মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের প্রস্তাবে একমত পোষণ করলেও মজুরি বাড়ানো নিয়ে মালিকরা সময়ক্ষেপণ করছেন। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় দাবি আদায়ে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তাই তারা রাস্তায় নেমেছেন।
এ বিষয়ে গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে কয়েক হাজার শ্রমিক রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও তারা অবরোধ-ভাংচুর অব্যাহত রাখায় তা ব্যহত হয়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হাওলাদার জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাস ভাংচুরে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এমআরপি/এসএ