বরিশাল: রাত ১২টার পর থেকে ভোরের আলো ফোটার সময় অনেক। কিন্তু আত্মতুষ্টি খোঁজা মানুষগুলো বাড়ি বসে থাকতে পারছেন না।
শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে লঞ্চে চড়ে পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় অর্ধশত বিলাসবহুল লঞ্চে ১ লাখ মানুষ রওনা করেছেন বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে। তবে, পাশ ছাড়া কেউ অংশ নিতে পারছেন না।
বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অর্ধশত লঞ্চের মধ্যে তাদের ঘাট থেকে আটটি ও ত্রিশ গোডাউন ঘাট থেকে একটি লঞ্চ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনস্থলে যাচ্ছে।
বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দক্ষিণাঞ্চল থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও উৎসাহ নিয়ে যাচ্ছেন। যাদের খাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছুর খরচ নেতৃবৃন্দ বহন করছেন।
আর যাদের নেওয়া হচ্ছে- তালিকা করে, কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে বিভিন্ন লঞ্চে আসন বিন্যাস করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রত্যেকের জন্য পাশের মতো করে আলাদা কার্ড করে দেওয়া হয়েছে।
রাত ১০টার দিকে বরিশাল নদী বন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, দলীয় নেতাকর্মীরা টার্মিনালে আসনবিন্যাস দেখে লঞ্চে উঠছেন। তার আগে টার্মিনাল গেটে ও লঞ্চে প্রবেশের মুখে কার্ড দেখাতে হচ্ছে প্রত্যেককে। কার্ডধারীরা ব্যতীত কাউকে লঞ্চের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে না। আর পুরো কাজ তদারকি করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
লঞ্চগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। বাজানো হচ্ছে দেশাত্মবোধকসহ পদ্মাসেতু নিয়ে রচিত গান।
দক্ষিণাঞ্চলের অন্য জেলা-উপজেলা থেকে যাওয়া লঞ্চগুলোকেও সাজানো হয়েছে বাহারি সাজে। করা হয়েছে নানা আলোকসজ্জা। বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করার সময় লঞ্চগুলো থেকে আতশবাজি ফোটান হচ্ছে। কীর্তনখোলা নদী তীর থেকে এ আনন্দ দেখছেন সাধারণ জনগণ।
উদ্বোধনস্থলে লঞ্চে থাকা নেতাকর্মীদের হাতে জাতীয় পতাকা থাকবে বলে জানিয়েছে বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াত সাদিক আব্দুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৬ ঘণ্টা, ২৪ জুন, ২০২২
এমএস/এমজে