মাদারীপুর: পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে জনসভায় আগতদের মুখে এবারের ঈদযাত্রায় স্বস্তির প্রসঙ্গ বার বার শোনা গেছে। এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মাদারীপুরের অনেকেই এসেছেন।
শনিবার (২৫ জুন) জনসভায় আসা জনতারা কথা বলছিলেন, আসন্ন ঈদে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারার স্বস্তির বিষয়ে।
মাদারীপুর থেকে আসা মো. মিরাজ হোসেন বলেন, সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাড়ি এসেছি। আজ সকাল থেকেই জনসভায় ছিলাম। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে একটা ইতিহাস রচনা হলো। সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবো আমরা। যারা শত হয়রানি মাথায় নিয়ে পদ্মা পাড়ি দেই। সামনে কোরবানির ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নদী পার হতে পারবো।
তানজিল চৌধুরী নামে শিবচরের তাজপুর এলাকার এক যুবক বলেন, পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে রওনা দেই। কিন্তু ঘাটে পৌছে দেখি, শেষ ফেরিটিও ছেড়ে গেছে সাড়ে সাতটায়। আর কোনো ফেরি নেই। অথচ ঘাটে তখনও অসংখ্য গাড়ি। পরে সারারাত ঘাটে বসে থেকে ভোরে ফেরিতে পার হই। এমন ভোগান্তির অবসান হলো আজ থেকে।
মো. পারভেজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, এবার ঈদে ঘাটে কোনো ভোগান্তি হবে না। যাত্রীরা যে কোনো সময়ই বাড়ি ফিরতে পারবেন। দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ এ সেতু হৃদয় দিয়ে 'ফিল' করে।
সরেজমিনে শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জনসমাবেশ এলাকা ঘুরে জানা গেছে জনতার এমন মনোভাব। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গরমের তীব্রতা এবং বৃষ্টি উপেক্ষা করেই লাখো মানুষের আগমন ঘটে। দূর-দূরান্ত থেকে আসেন তারা। তাদের চোখে-মুখে যেন নৌরুটের ভোগান্তি অবসানের স্বস্তির দেখা মিলছিল।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ রুটের কোটি মানুষের ভোগান্তির অবসান হলো। এখন থেকে ঈদে ঘরে ফিরতে তাদের আর কষ্ট পোহাতে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, ২৫ জুন, ২০২২
এফআর