গাবতলী থেকে: আর এক সপ্তাহ পরে ঈদুল আজহা। রাজধানীতে কোরবানির পশু কিনতে সবচেয়ে বেশি ভিড় জমে গাবতলী পশুহাটে।
শনিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাবতলী পশুর হাটে চলছে প্রস্তুতি। হাটে পশু বাঁধার জন্য বাঁশের খুঁটি, ত্রিপল ও সামিয়ানা টানানো হচ্ছে। এছাড়া হাটে দুই-একটি করে বড় গরু নিয়ে আসছেন রাখালরা। তবে এখনও আসেনি ছোট আর মাঝারি গরু।
শনিবার (২ জুলাই) সকালে ঝিনাইদাহের মহেশপুর থেকে গাবতলীতে একটি বড় গরু নিয়ে এসেছেন বেপারী ওসমান।
তিনি বলেন, আমার গরুটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের। তার কোনো নাম রাখা হয়নি। বয়স তিন বছর চার মাস। ঝিনাইদহে গরুটির বেচার মতো দাম পাইনি এজন্য গাবতলী পশুর হাটে নিয়ে এসেছি। দাম চাইছি ২৫ লাখ টাকা।
কুষ্টিয়ার মেহেরপুর থেকে শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে গাবতলীতে আনা হয়েছে ‘কালো রাজা’ নামে একটি গরু নিয়ে এসেছেন সবুজ বেপারী।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে দুটি বড় গরু নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছি। কালো রাজার দাম চাইছি ১০ লাখ টাকা। সাত থেকে আট লাখ টাকা দাম পেলে গরুটি বিক্রি করে দেবো। আরেকটি বড় গরু আছে সেটার দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। ১২ লাখ টাকা দাম পেলে বিক্রি করে বাড়ি চলে যাবো। এখনো গাবতলী হাটে গরুর ক্রেতারা আসছে না। হাটে এখনো ছোট ও মাঝারি গরু আসেনি। হাট এখনো ফাঁকা।
হাটে বড় গরু সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১৫টি এসেছে। আশা করি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পশুতে হাট ভরে যাবে। ক্রেতারাও আসতে শুরু করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সবুজ বেপারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২২
এমএমআই/আরআইএস