ঢাকা: দেশের অন্যতম সেরা থিম পার্ক ‘টগি ফান ওয়ার্ল্ড’-এর রোমাঞ্চকর সব রাইড উপভোগ করেছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। তারা বিনামূল্যে টগি ফান ওয়ার্ল্ডের রাইডগুলোতে চড়ার সুযোগ পেয়েছে।
বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন, জাগো ফাউন্ডেশন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে শনিবার (৩০ জুলাই) বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ৮ম তলায় টগি ফান ওয়ার্ল্ডের রাইডগুলো চড়ার সুযোগ পায় জাগো ফাউন্ডেশন স্কুলের রায়েরবাজার শাখার ৪০ শিক্ষার্থী।
স্কুলটির শিক্ষক জেনিফার রোকসানা বলেন, আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা আমন্ত্রণ পেয়ে এখানে এসেছে। তারা বিভিন্ন ধরনের রাইড আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেছে।
সুবিধাবঞ্চিত শিশু আশরাফুল ইসলাম শাকিল, আফিয়া আক্তার জিম, তাসনিম ইসলাম নীরবের সঙ্গে কথা হয় টগি ফান ওয়ার্ল্ডের অভিজ্ঞতা নিয়ে। তারা বলে, আগে কখনো এমন আনন্দ নেওয়ার সুযোগ হয়নি। টিভিতেই এ ধরনের রাইড দেখেছি। টিভিতে দেখা রাইডে চড়তে পেরে আমরা খুব খুশি!
টগি ফান ওয়ার্ল্ডের কার্যক্রম নিয়ে শনিবার বিকেলে বসুন্ধরা সিটিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. মোহসিনুল করিম বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ কাজ করে। খেলাধুলায় বসুন্ধরা গ্রুপ আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া কমপ্লেক্স করেছে, যাতে খেলাধুলায় দেশ এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, টগি ফান ওয়ার্ল্ডে ১৭৬টি গেম ও রাইড আছে। এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ আর্থিক সহায়তা হিসেবে বিদ্যানন্দ ও জাগো ফাউন্ডেশনকে দেওয়া হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়েও বসুন্ধরা গ্রুপ কাজ করছে। বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনে ১৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের গুণগত শিক্ষাদানে জাগো ফাউন্ডেশন কাজ করছে। ১৬ কোটি মানুষ যদি এক টাকা করে দেয় তাহলে এই শিশুদের শিক্ষার পথ প্রশস্ত হবে।
বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের সচিব ও টগি ফান ওয়ার্ল্ডের ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মান্না বলেন, যাদের সুস্থ শরীর নেই তাদের নিয়ে তিনটি সংগঠন কাজ করছে। বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করে। তারা যদি সুস্থ জীবন পায়, ধীরে ধীরে তাদের পুরো পরিবার সুস্থ জীবনযাত্রা পাবে।
বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু ব্যবসায় করে না, সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার সময় আমাদের সংগঠন শুভসংঘ প্রতিটি জেলায় ত্রাণ সরবরাহ করেছে। গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে গৃহ দিয়েছে। অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে থাকে বসুন্ধরা গ্রুপ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবক জামিল উদ্দিন বলেন, নারায়ণগঞ্জে মাত্র ১৫ জন নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিদ্যানন্দ। বিদ্যানন্দ মানে বিদ্যার সঙ্গে আনন্দ। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এক টাকার বিনিময়ে বিদ্যা, খাদ্য পেয়ে থাকে বিদ্যানন্দের মাধ্যমে। এক টাকা আমরা নিয়ে থাকি যেন বিনামূল্যে কোনো কিছু নেওয়ার কারণে আত্মসম্মান বিলিয়ে দেওয়া না লাগে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
এনবি/এমজেএফ