ঢাকা: বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, এটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালেই কারাগারে বসে নিশ্চিত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও তার লেখায় বঙ্গবন্ধু প্রকারান্তরে বার বার তিনি সেটা বলেছিলেন।
১৯৬৬ সালে ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণার পর কারাগারে বন্দি অবস্থায় তিনি যে ডায়রি লিখেছিলেন তাতে বার বার বলেছেন, দাবি আদায় হবেই। এখানে দাবি বলতে ৬ দফায় পূর্ব পাকিস্তানের যে স্বায়তশাসনের কথা তিনি বলেছিলেন সেটাই ছিল স্বাধীনতার মূল উপাদান। পাকিস্তান সরকার এবং শাসকগোষ্ঠী এটা ভালো করেই বুঝেছিল। যার কারণে তারা বারবার বলেছিল ৬ দফা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বার বার বলতে চেয়েলেন স্বায়তশাসন পাকিস্তান থেকে পূর্ব বাংলাকে আলাদা করা নয়। কৌশলে তিনি একথা বলতেন। তিনি যদি প্রকাশ্যে তখনই স্বাধীনতার কথা বলতেন তাহলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের দমন-নির্যাতন আরও বেড়ে যেত। আন্দোলনে এগিয়ে নেওযা হয়তো সম্ভব হতো না। আওয়ামী লীগের এ ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়া না হলে যে পরিণতি ভয়াবহ হবে সেটাও তিনি স্পষ্টভাবে বলে গেছেন।
১৯৬৬ সালের ১৪ জুন শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, পাকিস্তানের মঙ্গলের জন্য আমারও মনে হয় ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়া উচিত শাসকগোষ্ঠীর, বিশেষ করে আইয়ুব খান ও তার অনুসারীদের। তা না হলে পরিণতি ভয়াবহ হওযার সম্ভাবনা আছে। বাঙালির একটি গো আছে, যে জিনিস একবার বুঝতে পারে তার জন্য হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করতে পারে । পূর্ব বাংলার বাঙালি, এটা বুঝতে পেরেছে যে এদের শোষণ করা হয়েছে চারদিক দিয়ে। শুধু রাজনৈতিক দিক দিয়েই নয়, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়াও।
তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে একটা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ইঙ্গিতও ছিল। যেটা পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে প্রতিয়মান হয়।
এ দাবি আদায় এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে আরও ত্যাগ, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করতে হবে, পরিণতি ভয়াবহ হবে সেটাও তিনি তখনই স্পষ্টভাবে বলেছিলেন। ১৯৬৭ সালের ২৩ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমান রোজনামচার এক জায়গায় লিখেছেন, আমি যে ৬ দফা প্রস্তাব করেছি, ১৩ জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে লাহোর প্রস্তাব ভিত্তি করে, যে প্রস্তাব করার জন্য আমিও আমার সহকর্মীরা কারাগারে বন্দি। এই দাবির জন্য সাত জুন ৭০০ লোক গ্রেফতার হয় এবং ১১ জন জীবন দেয় পুলিশের গুলিতে। আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি দাবি আদায় হবে, তবে কিছু ত্যাগের প্রয়োজন হবে। আজকাল আবার
রাজনীতিবিদরা বলে থাকেন লাহোর প্রস্তাবের দাম নাই। পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়তশাসন দিলে পাকিস্তান দুর্বল হবে। এর অর্থ পূর্ব পাকিস্তানের ৬ কোটি লোককে বাজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না, যদি স্বায়তশাসন দেওয়া হয়। চিরদিন কাহাকেও শাসন করা যায় না যতই দিন যাবে তিক্ততা আরো বাড়বে এবং তিক্ত তার ভেতর দিয়ে দাবি আদায় হলে পরিণতি ভয়াবহ হবার সম্ভাবনা আছে। স্বায়তশাসনের অর্থ তিনি আইয়ুব খান করেছেন পূর্ব বাংলাকে নাকি আলাদা করার ষড়যন্ত্র। তিনি যাহাই বলুন আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দিতেই হবে একদিন। না দিলে ফলাফল খুবই খারাপ হবে । ইতিহাস এই শিক্ষাই দিয়েছে।
কিন্তু সরাসরি তিনি স্বাধীনতার কথা লেখেননি এ কারণেই যে তার লেখা বাইরে নিয়ে আসার আগে সরকার ও কারাকর্তৃপক্ষ তা সেন্সর করতেন। তাদের অনুমোদনের পর বাইরে আনা যেত।
এই স্বাধীনতা অর্জনে তিনি সব ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ছিলেন এবং মৃত্যুর ঝুঁকিকেও তিনি পরোয়া করেননি। ঝুঁকিযে তিনি নেবেন সেটাও তিনি ৬৬ সালেই বলেছিলেন। পরে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ক্যান্টনমেন্টে ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানের কারাগারে তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন বার বার। ১৯৬৭ সালের ২৪ মে কারাগার থেকে তিনি লিখেছেন, যে বাঙালিরা আমাকে আসামি করছে, আটকাইয়া রাখছে, জেল দিতেছে তারাও তো এই মাটির মানুষ এবং উচ্চ শিক্ষিত। এদের ছেলে মেয়ে ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্যই তো আমি ও আমার মতো শত শত কর্মীরা কারা বরণ করেছি। আরো কত লোকই না জীবন দিল তারই ভাইয়ের গুলিতে। এরাও একদিন বুঝবে, তবে সময় থাকতে না। সিভিল সার্জন ও জেলের ডাক্তার সাহেবকে বললাম, যদি পারেন ভালো চিকিৎসা করার বন্দোবস্ত করুন এই অত্যাচারের কাছে মাথা নত করব না, মরতে হয় কারাগারেই মরবো। পাপ আর পূর্ণ পাশাপাশি চলতে পারে না। মৃত্যু যদি জেলেই থাকে, হবে।
এর পর ১৮ই জুন শেখ মুজিব লিখেছেন, প্রায় ৬ বছর জেল খেটেছি। বোধহয় দুই হাজার রাতের কম হবে না, বেশি হতে পারে। আরো কত রাত কাটবে কে জানে। বোধ হয় আমাদের জীবনের সামনের রাতগুলো সরকার ও আইবি ডিপার্টমেন্টের হাতে।
মুক্তিযু্দ্ধে বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বঙ্গবন্ধু তার জীবনে বিভিন্ন সময় মোট ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে কাটিয়েছেন। ১৯৬৭ সালের ২১ জুলাই, দুইজন রাজবন্দিকে হাসপাতাল থেকে যখন জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তিনি তাদের উদ্দেশ্যে দূর থেকে চিৎকার করে বলেছিলেন, চিন্তা করিও না, ত্যাগ বৃথা যাবে না। জনগণের দাবি জনগণই আদায় করবে।
দেশের জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য যারা আন্দোলন-সংগ্রাম, কারা নির্যাতন ভোগ করছে তাদের সঙ্গে আদর্শগত ও মতের পার্থক্য হলেও তাদের ত্যাগকে বঙ্গবন্ধু সম্মান করতেন এবং তাদের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। ১৯৬৭ সালের ১৮ জুন কারা তিনি লিখেছেন, ২৬ ছেলের সিকিউরিটি বন্ধুরা আমাকে একটা রজনীগন্ধার তোরা উপহার পাঠাইয়াছে। আমার পড়ার টেবিলের উপর গ্লাসে পানি দিয়ে রাখলাম। সমস্ত ঘরটি রজনীগন্ধা সুমধুর গন্ধে ভরে গেছে। বড় মধুর লাগলো। বিশেষ করে ওই ত্যাগী বন্ধুদের সারা জীবনের ২৫ থেকে ৩০ বছর নীতি ও দেশের জন্য জেল খেটেছেন, আরো খাটছেন। তাদের এই উপহার আমার কাছে অনেক মূল্যবান। শুধু মনে মনে বললাম, তোমাদের মত ত্যাগ যেন আমি করতে পারি। তোমরা যে নীতি মানো না কেন, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। তোমরা দেশের মঙ্গল চাও, তাতে আমার সন্দেহ নেই। তোমরা জনগণের মুক্তি চাও এ কথা সত্য। তোমাদের আমি শ্রদ্ধা করি। তোমাদের এই উপহার আমার কাছে অনেক মূল্যবান।
এই বন্দিদের রাজনৈতিক পরিচয় বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করেননি। হয় পারে কৌশলগত কারণ। তবে ধারা করা যায় এরা ছিলেন কমিউনিস্ট বিপ্লবী। ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই এ ভূখণ্ডে শত শত কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। পাকিস্তান সরকারও একই নীতি অনুসরণ করেছে। দমন-নির্যাতনের পাশাপাশি কমিউনিস্ট পার্টি ছিল নিষিদ্ধ।
দেশের জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য যারা আন্দোলন-সংগ্রাম, কারা নির্যাতন ভোগ করছে তাদের সঙ্গে আদর্শগত ও মতের পার্থক্য হলেও তাদের ত্যাগকে বঙ্গবন্ধু সম্মান করতেন এবং তাদের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু স্বায়তশাসন, স্বাধীনতার কথাই ভাবতেন না, একটি স্বাধীন দেশের অর্থনীতি কী হওয়া উচিত ও কী পদক্ষেপ নিলে পরনির্ভরশীল না হয়ে স্বাধীন অর্থনীতি দাঁড় করানো যাবে এবং দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে কারাগারে বসে তিনি তা ভাবতেন। এ বিষয়ে তার অবস্থান ছিল স্পষ্ট।
১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে। ৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র আবার অর্থনৈতিক সহযোগিতার করবে বলে জানায়। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ১৮ই জুন লিখেছেন, নিজের দেশকে এত হেয় করে কোনো স্বাধীন দেশের সরকার এরূপভাবে সাহায্য গ্রহণ করতে পারে না। শুধু সরকারকে অপমান করে নাই, দেশের জনগণ ও দেশকেও অপমান করেছে। ভিক্ষুকের কোনো সম্মান নাই। তবে শোয়েব সাহেব(অর্থমন্ত্রী) যে অর্থনীতি এখানে চালাইতেছেন তাতে এছাড়া আইয়ুব সাহেবের উপায়ই বা কী ছিল। একমাত্র সমাজতন্ত্র কায়েম করলে কারো কাছে এত হেও হয়ে সাহায্য নিতে হতো না। দেশের জনগণের উপকার হতো। এখন তো কিছু কিছু লোককে আরো বড়লোক আর সমস্ত জাতিকে ভিখারি করা ছাড়া উপায় নাই। পুঁজি পতিদের কাছে পাকিস্তানকে কি বন্ধক দেওয়া হলো জীবনের তরে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও শেখ মুজিবের অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। সাম্রাজ্যবাদী নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং নিপীড়িত মানুষের পক্ষে ছিল তার সোচ্চার অবস্থান। ভিয়েতনাম যুদ্ধ সম্পর্কে তার মন্তব্যের ভেতর দিয়ে সেটা স্পষ্ট বোঝা যায়।
১৩ জুলাই ১৯৬৬ শেখ মুজিব লিখেছেন, রাশিয়া উত্তর ভিয়েতনাম সরকারকে সামরিক সাহায্য প্রেরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে । রাশিয়া পূর্ব থেকেই অনেক সাহায্য দিয়েছে। আমেরিকা যতই নিজেকে শক্তিশালী মনে করুন রাশিয়া যখন হ্যানয় সরকারকে সাহায্য করতে আরম্ভ করেছে তখন যুদ্ধে জয়লাভ কখনই করতে পারবে না। এর পরিণতির ভয়াবহ হবে। একমাত্র সমাধান হলো তাদের ভিয়েতনাম থেকে চলে আসা।
এর পর ২১ জুলাই তিনি লেখেন, উত্তর ভিয়েতনাম ঘোষণা করেছে মার্কিন পাইলটদের যুদ্ধবন্দি হিসেবে বিচার করা হবে না, বিচার করা হবে যুদ্ধ অপরাধী হিসেবে। অন্যায় ভাবে অন্যের দেশে বোমা বর্ষণ করা, যুদ্ধ ঘোষণা না করে, এর চেয়ে ভালো ব্যবহার আশা করতে পারে কী করে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ১৯৫৫ সালে শুরু হয়ে ১৯৭৫ সালের ৩০ এপ্রিল শেষ হয়। এ য্দ্ধু সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু যে মন্তব্য করেছিলেন সেটাই পরবর্তীতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনাম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়।
১৯৬৬ সালে কারাবন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। এ ববছর ১৪ জুলাই ঢাকা জেলের ডিআইজির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানের নাম তো ইসলামিক রিপাবলিক রাখা হয়েছে। দেখুন না ইসলামের আদর্শ চারিদিকে কায়েমের ধাক্কায় ঘুষ অত্যাচার জুলুম বেইনসাফি মিথ্যাচার শোষণ এমনভাবে বেড়ে চলেছে যে যারা আল্লায় বিশ্বাস করে না তারাও নিশ্চয়ই হাসবে আমাদের অবস্থা দেখে। দেখুন না রাশিয়ায় যেখানে ধর্মের বিশ্বাস করে না, সেখানে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চেষ্টা করছে, ঘুষ শোষণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মানুষের বাঁচার অধিকার স্বীকার করেছে।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি চালুর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি হিসেবে ১৯৭৫ হালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ(বাকশাল) গঠন করেছিলেন তিনি। এর আগে ১৯৭৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ, সিপিবি ও ন্যাপের সমন্বয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে ট্রাজেডির শিকার হন তার মুলে ছিল খন্দোকার মোশতাক। যে মোশতাকের হাতে বঙ্গবন্ধু জীবন দিয়েছেন সেই মোশতাককেও তিনি তার কারাগারের রোজনামচার লেখায় বার বার প্রশংসা করেছেন। এতে মোশতাকের প্রতি তার দৃঢ় আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। আসলে তিনি তো কখনো বুঝতেও পারেননি যে এই মোশতাকই তার সমস্ত স্বপ্ন, পরিকল্পনা ভেঙে চুরমার করে দেবে। ১৯৬৭ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিলের লেখার মধ্যে এক জায়গায় বঙ্গবন্ধু বলেছেন, মোশতাক সাহেব তো পুরনো পাপী। অত্যন্ত সহ্যশক্তি, আদর্শে অটল। এবার জেলে তাকে বেশি কষ্ট দিয়েছে। একবার পাবনা জেলে, একবার রাজশাহী জেলে আবার ঢাকা জেলে নিয়ে। কিন্তু সেই অতি পরিচিত হাসিখুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
এসকে/এসআইএস