রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড়।
সোমবার (২২ আগস্ট) ভোরে মাছটি ধরা পড়ার পরে দৌলতদিয়া বাজারের রওশন মোল্লার মাছের আড়ত থেকে বিক্রি হয়েছে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বড় কোনো মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। মাছ না পাওয়ায় জেলেদের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও ছিলেন হতাশ। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার অনেক দিন পর সোমবার ভোরের দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে ২০ কেজি ওজনের এ মাছটি ধরা পড়ে। নদীর মোহনায় অন্তর মোড় এলাকার জেলে জমির হালদার ও তার দলের জালে ওঠে বাঘাইড়টি।
পরে মাছটি ভোড় সাড়ে ৬টার দিকে বিক্রির জন্য আনা হয় দৌলতদিয়া মাছ বাজারের আড়তদার রওশন মোল্লার ঘরে। সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ মাছটি কিনে নেন।
শাহজাহান শেখ বলেন, ভোড় সাড়ে ৬টার দিকে রওশন মোল্লার আড়ত ঘর থেকে নিলামে অংশ নিয়ে এক হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে মোট ২২ হাজার টাকায় বাঘাইড়টি কিনেছি। পরে সেটি বিক্রির জন্য ফেরি ঘাটের পন্টুনে রশি দিয়ে বেধে রাখা হয়। উৎসুক অনেকে মাছটি দেখতে ফেরি ঘাটে ভিড় করেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক দিন পর নদীতে এত বড় মাছ পাওয়া গেল। এতে জেলেদের পাশাপাশি আমরা ব্যবসায়ীরাও অনেক খুশি হয়েছি। মাছটিকে ঢাকার এক ব্যাবসায়ীর কাছে ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে মোট ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরিফ জানান, বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে এ মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়। এছাড়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। পানি বেশি থাকলে পাঙাশ, রুই, কাতল, বোয়াল, বাঘাইড়সহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়তে পারে। আর মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এ ধরনের মাছ বংশবৃদ্ধি হয়ে আরও বেশি ধরা পড়তে পারতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট ২০২২
এফআর