সাতক্ষীরা: নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় কাঁকড়া শিকারের অভিযোগে ১৫ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ। এদের মধ্যে নয়জনের কাছ থেকে বনআইনে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় (সিওআর) করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে পশ্চিম সুন্দরবনের বড় বৈকারী খাল ও মাহমুদা নদী থেকে সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় জেলেদের ব্যবহৃত ৫টি নৌকা ও ৭৫টি আটনসহ কাঁকড়া ধরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
আটক জেলেরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের ছবেদ আলী গাজীর ছেলে সুন্নত গাজী, মাজেদ গাজীর ছেলে খায়ের গাজী, রমজান গাজীর ছেলে কুদ্দুস গাজী, মরাগাং গ্রামের জহুর মিস্ত্রীর ছেলে আব্দুল জলিল মিস্ত্রী, পার্শ্বেখালী গ্রামের নেকবত গাজীর ছেলে রাশিদুল গাজী, মোহর আলী গাইনের ছেলে নজরুল ইসলাম গাইন, খালেক মোল্যার ছেলে আব্দুস সালাম, জব্বার গাজীর ছেলে আব্দুল আলিম, যতীন্দ্রনগর গ্রামের ছবেদ আলী মোল্যার ছেলে গফুর মোল্যা, গফুর মোল্যার ছেলে ফয়জুল্যাহ, ছোটভেটখালী গ্রামের ইসমাইল গাজীর ছেলে নওশের গাজী, কেরামত গাজীর ছেলে কওছার গাজী, শাহাদাৎ মোড়লের ছেলে আমিরুল মোড়ল এবং খুলনার কয়রা উপজেলার বোতল বাজার গ্রামের মহিউদ্দীন শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও জামির উদ্দীন গাজীর ছেলে আজিবর গাজী।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় জেলেদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু অসাধু জেলেরা গোপনে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরছিল। এসময় বনবিভাগের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। আটক জেলেদের মধ্যে শুক্রবার ৯ জনকে বন আইনে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা (সিওআর) করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি জেলেদের বন আইনে (পিওআর) করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
আরএ