কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিচারক তাজুল ইসলাম মো. আশরাফুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ভেড়ামারার ফকিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), তার ভাই কনক (২১) এবং একই এলাকার ঘরি উদ্দিনের ছেলে রফিক (৩৭)।
রায় দেওয়াকালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৯ মে সকাল ১০টার দিকে জমিজমা পরিমাপ নিয়ে দ্বন্দ্বে ভেড়ামারার ফকিরাবাদ এলাকার রজব আলীকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাৎক্ষণিক তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইদবার মণ্ডল ছয়জনের উল্লেখ করে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে ছয়জনের বিরুদ্ধে রজব আলী হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভেড়ামারা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক শওকত আলী। পরে আসামিদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং দীর্ঘ বিচার কার্য শেষে মঙ্গলবার রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ভেড়ামারা থানার জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে রজব আলীকে হত্যার দায়ে তিন আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আনোয়ারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড, আসামি রফিককে চার বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং কনককে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে মামলার আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফারুক, আনোয়ারা ও মমতাজকে অব্যাহত দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
এসআরএস