ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ ফাঁড়িতে আটক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
পুলিশ ফাঁড়িতে আটক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক লেবু মিয়া (৫০) পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশের দাবি তিনি ভোরে সবার অজান্তে গলায় রঁশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

তবে পরিবারের দাবি তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে তার মৃত্যু হয়।

নিহত লেবু মিয়া বাঁশতৈল গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিম পাড়ার বসতঘর থেকে তিন সন্তানের জননী সখিনা বেগম (৪২) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সখিনা বেগমের সাবেক স্বামী বাঁশতৈল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মফিজুর রহমান (৪৭) এবং প্রতিবেশী লেবু মিয়াকে (৫০) আটক করা হয়। পরে মঙ্গলবার ভোরে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির হাজতখানার ভেতর থেকে লেবু মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্ত্রী আলেয়া বেগমের দাবি তার স্বামীকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে পুলিশ। পরে এটি ভিন্ন খানের নেওয়ার জন্য আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বুলবুলের উপস্থিতিতে মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামানো হয়। পরে তিনি মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। তবে হাজতখানার ভেতরে রঁশি কোথা থেকে এলো এ নিয়ে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাংলানিউজকে জানান, তিনি হাজত খানার ভেতরে ভ্যান্টিলেটারের সঙ্গে রঁশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লেবু মিয়ার মরদেহ দেখতে পান। মরহেদের সুরতহাল করা হয়েছে। নিহতের গলায় রঁশির কালো দাগ ছাড়া কোথায় আর কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।