ময়মনসিংহ: যৌতুক হিসেবে জমি লিখে না দেওয়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে নাক বিচ্ছিন্ন করায় মামুন মিয়া (২৫) নামে এক যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছেন বাড়ির লোকজন।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ফুলবাড়িয়া উপজেলার নয়াবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে মাহমুদা খাতুন রুপুর মা হামিদা খাতুন বাদী হয়ে মামুনকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নয়াবিলা গ্রামের মাহমুদা খাতুন রুপুর (২১) বিয়ে হয় ময়মনসিংহ সদরের আকুয়া দক্ষিণপাড়া মহল্লার মানিক মিয়ার ছেলে মামুনের সঙ্গে। সর্ম্পকে তারা চাচাত ভাইবোন। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই যৌতুক হিসেবে রুপুর ময়মনসিংহের একটি জমি নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন মামুন। জমি লিখে না দেওয়ায় মাঝে মধ্যেই স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন মামুন। গত শনিবার বিকেলে রুপুকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রুপু চলে আসে মায়ের বাড়িতে। এরপর বুধবার রাতে মামুন একটি জুসের বোতল নিয়ে রুপুর কাছে আসেন। রাতের খাবার শেষে স্বামী-স্ত্রী ঘুমাতে যান। সকালে ঘরে মেয়ের গোঙানোর শব্দ শুনে হামিদা খাতুন ভেতরে গিয়ে দেখেন মামুন মিয়ার হাতে রক্তাক্ত ছুরি আর বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় রুপু কাতরাচ্ছেন। মায়ের চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে মামুনকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ ডেকে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় রুপুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রুপুর মা হামিদা খাতুন বলেন, যৌতুকের জন্য মেয়েকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি,আমার বাড়িতে এসে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর ধারালো ছুরি দিয়ে রুপুর শরীর থেকে নাক বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে মামুন। মুখ, হাত ও কুনইসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষতবিক্ষত করেছে।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন, অভিযুক্তকে আটক করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
এসআই