কুমিল্লা: কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও চান্দিনা উপজেলায় এ পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফাতেমা আক্তার রেবা (২৪), শিশু মিম ও মো. বায়েজিদ ইসলাম (৩৫)।
এদের মধ্যে রেবা চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামের মফিজুর রহমানের মেয়ে ও কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের স্নাতক তৃতীয়বর্ষের ছাত্রী। শিশু মিম চান্দিনা উপজেলার সুজন মিয়ার মেয়ে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় ‘আমির শার্টস’ নামে এক পোশাক কারখানায় কাজ করেন সুজন মিয়া। আর নিহত বায়েজিদ কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কদমতলী গ্রামের হাজী ফার্মেসির মালিক রফিকুল ইসলামের ছোট ছেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রামে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় বাস। এতে কলেজছাত্রী রেবা ও শিশু মিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া পৃথক দুর্ঘটনায় চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী বায়েজিদ নিহত হন।
কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাকির মাহমুদ জানান, কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রেবা। পথে মিয়াবাজার নেমে অটোরিকশায় ওঠেন তিনি। অটোরিকশাটি মিয়াবাজার পার হলে কুমিল্লা থেকে কাশিনগরগামী বিজলী সুপার সার্ভিসের একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা আরেকটি বাসের পেছনে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশাটি ধুমড়ে-মুচড়ে গেলে মিম, রেবাসহ তিন যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে মিয়াবাজার এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেবাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায় সে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে কোনো লোক মারা যাননি। হাসপাতালে নেওয়ার পর রেবা ও মিমের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে একই দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা-চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া এলাকায় বাসচাপায় মোটরসাইকেলের আরোহী বায়েজিদ নিহত হন।
এ ব্যাপারে ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই আবদুল হাকিম জানান, বায়েজীদ মোটরসাইকেল যোগে কুমিল্লা যাচ্ছিলেন। পথে মাধাইয়া এলাকায় পেছনে থেকে একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
এসআরএস