ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা দলের সভাপতি হওয়ার পরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে অনেকে দল ছেড়েছিলেন। যেসব নেতারা দল ছেড়েছিলেন তারা আবার দলে ফিরে এসেছেন।
মশিউর রহমান বলেন, ১৫ দল, ১৪ দল, ৯ দলের নামে তিনি (শেখ হাসিনা) প্রগতিশীল দলগুলোকে একত্রিত করেছেন। এককভাবে একটি আসন পাবার মতো অবস্থায় ছিল না যেসব দল তাদেরও একাধিক সংসদ সদস্য বানিয়েছেন জোটভুক্ত করে। এমনকি সর্বোচ্চ স্বাদ মন্ত্রিত্বও দিয়েছেন তাদের। এরফলে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। দেশপ্রেম শেখ হাসিনার চেয়ে কারও বেশি নেই।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ‘মাসিক উত্তরণ’ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মজয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। শেখ হাসিনা জীবনমান উন্নয়নে বহুমুখী কর্মসূচি নিয়েছেন। শুধু বর্তমান না, ভবিষ্যতকেও দেখতে পান শেখ হাসিনা।
মশিউর রহমান আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ৫০ বছর ধরে চিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা হিসেবে পদ ছাড়া যেমন চিনি তেমনি ১৯৯৬ সালে যখন প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এলেন তখন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পেয়েছি। এবার ক্ষমতায় আসার পরে দলের সাথে সম্পৃক্ত থেকে তাঁকে চিনছি। শেখ হাসিনাকে দেখেছি মন্ত্রিসভায় সবার বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন। তারপর সবার কথা শুনে সেরা সিদ্ধান্তটি তিনি নেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, মানুষের জন্য খাবারের প্রয়োজনে দেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি প্রয়োজনে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। শিক্ষার প্রসার ঘটছে। মেয়েদের শিক্ষার হার ছেলেদের শিক্ষার হারের চেয়ে বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ ঘটছে।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনা প্রথম ভারত, নেপাল ও ভুটান নিয়ে উপ-আঞ্চলিক সম্পর্ক তৈরির পদক্ষেপ নেন। এর মাধ্যমে বাণিজ্য ও যোগাযোগ উন্নয়ন ঘটছে। ভবিষ্যৎ দর্শনের ভিত্তি করে শেখ হাসিনা সেই সময় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া ভরসা করার মতো দল নেই, তেমনি শেখ হাসিনা ছাড়া ভরসা করার মতো নেত্রী নেই। পাকিস্তানের দিক থেকে ফিরিয়ে দেশকে সঠিক পথে নিয়ে আসার কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। ’৮১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বহু চড়াই উৎরাই পার করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তারপরে দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড করেছেন।
কথা, গান, কবিতা, আবৃত্তি ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাসিক উত্তরণ সম্পাদক নূহ উল আলম লেলিন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০, অক্টোবর ০৪, ২০২২
এনবি/এমজেএফ