ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেরপুরে পদ্মা সেতু পার হয়ে পূজামণ্ডপে 

জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, ডিস্ট্রিক্ট করেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২২
শেরপুরে পদ্মা সেতু পার হয়ে পূজামণ্ডপে 

শেরপুর: এবার শেরপুরেও তৈরি হলো পদ্মা সেতু! কথাটি শুনে খটকা লাগলেও জেলা শহরের বাগবাড়ি এলাকায় শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা মন্দিরের পাশে পুকুরের উপর কর্কশিট দিয়ে স্বপ্নের সেতু নির্মাণ করেছেন। এটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থী প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন।

আয়োজকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গর্বের সেতু তৈরি করে দিয়েছেন। কিন্তু এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে তা দেখা সম্ভব না। তাই ওই সেতু ডেমো আকারে তৈরি করে সবাইকে এর দৃষ্টিনন্দন অবয়ব দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

সেতু নির্মাণকারী সঞ্জিত সূত্রধর বলেন, ইউটিউব দেখে পদ্মা সেতুর পুরো ডিজাইনটা আত্মস্থ করি। পরে কর্কশিট দিয়ে সেতুর নাট-বল্টু তৈরি করার চেষ্টা করি। ১শ ফুট লম্বা এবং সাড়ে তিন ফুট চওড়া রেখে পুরো সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি তৈরি করতে প্রায় ২০-২২ দিন সময় লাগে।

সঞ্জিতের স্ত্রী মামনি সূত্রধর বলেন, এবারের পূজোয় আকর্ষণীয় বিষয় কি হবে এ বিষয়ে জানতে চায় আমার স্বামী। তখন আমি তাকে বলি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। তাই তুমিও এবার পদ্মা সেতু বানাও। তখন আমার স্বামী বলে এটি অনেক বড় ব্যাপার একাজ আমাকে দিয়ে হবে না। পরে তার মনে সাহস যুগিয়ে অনেক চেষ্টার পর এ কাজে আমরা সফল হই।

বাগবাড়ি মন্দির কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজিত দাস বলেন, দেশের জন্য দৃষ্টিনন্দন জিনিস হচ্ছে পদ্মা সেতু। এ কারণে কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আমরা এবার এই সেতু তৈরি করব। পরে সঞ্জিতকে সেতুটি তৈরি করার চুক্তি দেওয়া হয়।

সুজিত দাস আরও বলেন, পদ্মা সেতু দেশের মানুষের জন্য আর্শীবাদস্বরূপ। এ সেতুর কারণে কোটি কোটি মানুষের সুবিধা হয়েছে। আর এই স্বপ্নের সেতু ওই জায়গায় গিয়ে দেখা সবার জন্য সম্ভব না। তাই পদ্মা সেতুর আদলে এই সেতুটি তৈরি করে সবারকে দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, জেলায় এ নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলে পদ্মা সেতুর জন্য আমরা প্রথম স্থান লাভ করব।

দর্শনার্থী  রতন চন্দ্র শীল বলেন, ফেসবুকে এই পদ্মা সেতুর ছবি পোস্ট হওয়ার পর তা ভাইরাল হয়ে গেছে। তাই আমি এ সেতু দেখতে আসছি। আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।

দর্শনার্থী অরুন দাস বলেন, আমি এ খবর পেয়ে গাইবান্ধা থেকে শেরপুর এসেছি। শুধু আমি একা নই আমার জানা মতে আশপাশের জেলা থেকে হাজারো মানুষ আসছে এই পদ্মা সেতু দেখার জন্য।

বাগবাড়ি মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ সবুজ দে বলেন, এই সেতু তৈরি করতে ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় ১৫ জন লোক দিন রাত কাজ করে এই সেতু নির্মাণ করেছেন।

কমিটির উপদেষ্টা নির্মল দে আগামীতে আরও ভাল কিছু উপহার দেওয়ার জন্য স্থানীয় এমপি এবং মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।