ঢাকা: রাজধানীর বনানীর একটি বস্তিতে থেকে রুমান ইসলাম (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে বনানীর কে-ব্লকের ২২ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ি থেকে রুমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আইনুল ইসলামের তিন ছেলের মধ্যে সবার ছোট রুমান। তার বড় দুই ভাই রুহান ও সুহানসহ তার বাবা এবং মা ওই বস্তিতে থাকেন।
রুমানের বাবা আমড়া বিক্রেতা আইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে তিনি কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবর পান ছোট ছেলে রুমানকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে দ্রুত তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী হনুফার কাছে শুনেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রুমানকে কোলে নিয়ে তিনি রান্না করছিলাম। রুমান চিৎকার করে কান্না করছিল। এ সময় প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া রিকশাচালক মো. শহিদুল (১৪) স্বেচ্ছায় রুমানকে কোলে নিয়ে সেখান থেকে সরে যান। পরে ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে শহিদুলের কাছে রুমানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন তিনি। এ সময় শহিদুল কোনো সদত্তর দেয়নি। স্ত্রীর কাছে পুরো ঘটনা শুনে আইনুলও শহিদুলের কাছে ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো তথ্য দেয়নি।
পরে রুমানের স্বজনরা থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই বস্তিতে গিয়ে শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে সে দোতলা বাড়ির টিনের চালের ওপর গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় রুমানের মরদেহ দেখিয়ে দেয়।
আইনুল অভিযোগ করেন, শহিদুল শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। তবে শহিদুলের সঙ্গে তাদের পারিবারিক বা অন্য কোনো কারণেই দ্বন্দ্ব নেই। শহিদুল কি কারণে রুমানকে হত্যা করলো এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে রাতে ওই বস্তির টিনসেড দোতলা বাড়ির চালের ওপর থেকে রুমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রুমানের বাবা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এতে তাদের প্রতিবেশী শহিদুল নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহিদুল হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ওসি জানান, শহিদুল বলছে, রুমানের মা তাকে মাঝেমধ্যে বকাঝকা করতেন। তবে এটি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ কিনা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শেরপুর সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল। সে ওই বস্তিতে থেকে রিকশাচালক চালাতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২২
এজেডএস/আরআইএস