যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিষ প্রয়োগ করে সেই ১৮টি কুকুর হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পিপল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেয়, সেইফ কুষ্টিয়া রেসকিউ টিম ফর স্ট্রে অ্যানিম্যাল, সেইফ দি ন্যাচার অব বাংলাদেশ, মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স যশোর, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাণী নিধনের বিষয়ে সরকারি আইন থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর তোয়াক্কা করেনি। তারা ১৮টি কুকুরকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে জঘন্য কাজ করেছে। মানববন্ধন থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি শাহরুখ খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান সাবু, সওগাত কামাল দ্বীপ, সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ অনিন্দ্র হাসান, আলিনুর রহমান প্রমুখ।
অন্যদিকে একই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে বেসরকারি প্রাণী সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের গার্ডিয়ানস অব পস অ্যান্ড কসের (জিপিসি) সভাপতি শামীম আকনের হয়ে ডাক ও রেজিস্ট্রি যোগে আইনি নোটিশ পাঠান খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ আব্বাস।
ওই নোটিশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরেছি, ক্যাম্পাসে বিষ প্রয়োগে ১৮টি কুকুর হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। যা দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই ঘটনায় আপনারা দেশের প্রচলিত প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯-এর ধারা ১১(১)-এর ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। বিষ প্রয়োগে ১৮টি কুকুর হত্যার বিষয়টি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের অবগত না করলে, আমরা দেশের প্রচলিত আইনে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
এরআগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর জলাতঙ্ক দিবসে যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিধন কর্মীদের দিয়ে ইনজেকশন পুশ করে ১৮টি কুকুর হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার নির্দেশে কুকুর গুলো হত্যা করা হয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি তারা এই বিষয়ে কিছু জানেন না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউকে কুকুর নিধনের অনুমতি দেয়নি। অনুমতির কোনো প্রশ্নই ওঠে না, যেহেতু হাইকোর্ট থেকে নিষেধাক্ষা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে কুকুরগুলো হিংস্র আচরণ করলে আমরা সেগুলোকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি। কুকুর হত্যা নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
যদিও, যবিপ্রবি ভিসির এই বক্তব্যকে ‘দায়সারা’ বক্তব্য বলেই অভিমত দিয়েছেন প্রতিবাদকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন>>যবিপ্রবিতে ১৮ কুকুর নিধন, ফেসবুকে নিন্দা-ক্ষোভ
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২২
ইউজি/এএটি