ঢাকা: গাজীপুরের টঙ্গী থেকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা জয় (২২) সহ ৭ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
আটক অন্যরা হলেন- মো. লিটন (২৫), বিজয় হোসেন (২০), মো. সালমান হোসেন (২২), সালমান হোসেন সাগর (২২), মো. নবীন হোসেন চঞ্চল (২৫) ও মো. রফিক (৩০)।
মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) রাত থেকে বুধবার (০৫ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত টঙ্গী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নোমান আহমদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর ও গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় ছিনতাই চক্রের তৎপরতা দিন দিন বাড়ছে। পূজা উপলক্ষে ঢাকা থেকে গ্রাম অভিমুখে আবার গ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুকে যাত্রী ও পথচারীদের যাতায়াত বেড়ে যায়। এই সুযোগে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা নিরীহ পথচারীদের সর্বস্ব ছিনতাই করছে।
তিনি বলেন, ছিনতাইকারীরা নিরীহ মানুষকে অস্ত্রাঘাত করে, প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেল, গাড়ি, টাকা পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি ছিনতাই করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১ অভিযান পরিচালান করে ৭ জনকে গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কয়েকটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরার হাউজ বিল্ডিং, আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এবং গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় ছিনতাই করে আসছিলো। রাস্তার পাশে তারা অন্ধকারে ওৎপেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, বাসযাত্রী, মোটরসাইকেল আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে করে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাই কাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতেও দ্বিধা বোধ করে না।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, টঙ্গী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা জয়। তার সহযোগী ৬ জনসহ চক্রের প্রতিটি সদস্য এসব এলাকায় তার নির্দেশে ছিনতাই করে থাকে। তারা প্রত্যেকে মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন ধরেই ডান্ডি, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবন করে আসছিলো।
তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্যদের অনেকেই দিনের বেলা বাস/লেগুনার হেলপার, ওয়ার্কসপের শ্রমিক, দিনমুজুর, টোকাই, মাছ/কাঁচামালের আড়তে কাজ করে। বৈধ পেশার আড়ালে সুযোগ পেলেই তারা ছিনতাই করে আসছে বলে স্বীকার করেছে।
আটক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২২
এসজেএ/এসএ