নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার ওপরে নির্মিত তৃতীয় সেতুর দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। এই সেতু উদ্বোধনের ফলে কমে আসবে শীতলক্ষ্যা পারাপারে নৌ দুর্ঘটনার সংখ্যা।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্মিত তৃতীয় এ সেতুর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সদর উপজেলা ও বন্দর উপজেলার মাধ্যমে সংযোগ তৈরি হচ্ছে।
এ সেতু উদ্বোধনের ফলে নৌ দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) থেকে শুরু করেন স্থানীয়রা।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, সেতুটি আগে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জকে পশ্চিমে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুরের সাথে সংযুক্ত করেছে। এত ফলে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সাথে পদ্মা সেতুর সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। আগে নৌকায় করে নদী পথে চলাচল করতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে সেতুটি স্থানীয়দের জন্য নিরাপদ যোগাযোগ নিশ্চিত করবে।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের এসপি মীনা মাহমুদা জানান, শীতলক্ষ্যা নদী পথে প্রতিনিয়ত ঘটা নৌ দুর্ঘটনা কমে আসবে এ সেতুর ফলে। এ সেতু উদ্বোধনের ফলে নৌ পথে ভারী মালামাল পরিবহনের যে ঝুঁকি সেটি মুক্ত হবে।
বন্দরের বাসিন্দা আহমেদ ফয়সাল জানান, এবার এ সেতুতে অনেক দুর্ঘটনা কমবে। আগে নদী পারাপারে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটতো এবং প্রাণহানি হতো। এখন আর সেই অবস্থা হবে না আশা করছি।
সেতু প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি। ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে পাঁচটি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২ দশমিক ১৫ মিটার। এছাড়া ছয় লেনের টোল প্লাজা এবং দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ রোডও নির্মাণ করা হচ্ছে।
শীতলক্ষ্যা নদী বন্দর উপজেলা ও সোনারগাঁ উপজেলাকে জেলা সদর থেকে পৃথক করেছে। এ দুটি উপজেলা সরাসরি সড়কপথে জেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না। দুই উপজেলা থেকে সদরে যেতে কাঁচপুর ব্রিজ (শীতলক্ষ্যা-১ সেতু) ব্যবহার করতে হতো, এর জন্য নৌকায় নদী পথের ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্ব সড়ক পথে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
এমআরপি/এএটি