লক্ষ্মীপুর: মালয়েশিয়ায় চাকরির সুবাদে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী সিতি রাহাইউ ও বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের যুবক মামুন হোসেনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টানা পাঁচ বছর চলে তাদের সম্পর্ক।
রোববার (৯ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারীর মাধ্যমেই এফিডেভিট ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।
মামুন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কেরোয়া গ্রামের সাজী বাড়ির রফিক উল্যার ছেলে। সিতি রাহাইউ ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ের বাসিন্দা মৃত জুমিরান ও রাতনারিং দম্পতির মেয়ে।
জানা গেছে, শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে মালয়েশিয়ার থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মামুন ও সিতিকা। পরে মামুন সিতিকাকে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। রোববার লক্ষ্মীপুর আদালতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। তারা দুইজন মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে এক সঙ্গে চাকরি করেন।
মামুনের বরাত দিয়ে আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী জানান, ২০১৭ সালে চাকরির সুবাদে মালয়েশিয়ায় সিতির সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে বিয়ের জন্য সুদূর মালয়েশিয়া থেকে তারা দুইজনে এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ছুটি শেষে তারা মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন। তবে সিতি বাংলাদেশে থাকতে আগ্রহী।
আদালত প্রাঙ্গণে সিতি রাহাইউ সাংবাদিকদের জানান, মামুনকে তিনি অনেক বেশি ভালোবাসেন। সে ভালোবাসা থেকেই তারা বিয়ে করেছেন।
মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ জানান, মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সিতির সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। বাড়িতে এসে প্রথমদিনই খুব সহজে সবার সঙ্গে সিতির ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আপনজনের মতো সবাইকে গ্রহণ করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে সিতিকে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।
এদিকে ৭ মাস আগেও ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামে ইন্দোনেশিয়ান আরেক তরুণী প্রেমের টানে রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামে ছুটে আসেন। রাসেল আহম্মেদ নামে এক যুবককে বিয়ে করেন। ওই দম্পতিও এখন সংসার জীবনে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
আরএ