ঢাকা: ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় খুন ও অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি ফ্রিডম পার্টির ক্যাডার শামসুল ইসলামকে দীর্ঘ ৩১ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী শামসুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩১ বছর দেশে-বিদেশে পলাতক হিসেবে আত্মগোপন করেছিলেন।
তিনি জানান, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বিগত ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে পূরবী সিনেমা হলের কাছে ফ্রিডম পার্টির অফিসের সামনে মো. হারুনকে ফ্রিডম পার্টির লোকজন গুলি করে। এ ঘটনাস্থলে হারুন অর রশিদসহ আরো ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারুনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরে আসামিরা পালানোর সময় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানাধীন এলাকায় শামসুল ইসলামসহ মোট ৩০ জনকে অস্ত্রসহ আটক করে ত্রিশাল থানার পুলিশ। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১৭) এবং অস্ত্র আইনে একটি মামলা (নং-২) দায়ের করা হয়।
পরে তদন্ত শেষে ময়মনসিংহ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোট ৩০ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৭ সালের ৯ মে ময়মনসিংহ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় ৩০ জন আসামির মধ্যে ২৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ৩ জন মৃত্যুবরণ করায় আদালত বিচারের জন্য সোপর্দ করেনি।
গ্রেফতার শামসুল ইসলাম নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও তিনি পলাতক থেকে যায়। গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এসজেএ/এএটি