বরগুনা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে।
রোববার দিনভর থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও মধ্যরাত থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি অমাবস্যার কারণে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর এবং বিষখালী নদীর পানি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
এ সভায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (পিপিপি) উপ-পরিচালক বলেন, বরগুনার বেতাগী এবং বামনা উপজেলা ছাড়া জেলার বাকি চার উপজেলায় মোট ৮ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।
বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম জানান, ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ভেঙে গেলে দ্রুত মেরামত করার প্রস্তুতি আছে।
এদিকে, বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে বরগুনা জেলার প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য ৬৪২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ২৫ মেট্রিক টন চাল, ১০০০ কার্টুন শুকনা খাবার, ৭০০ প্যাকেট বিস্কুট, ১৯০ বান টিন হাতে আছে। প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ প্রস্তুতি সভা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে বরগুনার পাথরঘাটা এবং তালতলী উপজেলার সব ইউনিয়ন, বেতাগী উপজেলার এক তৃতীয় অংশ ও সদর উপজেলার বদরখালী, ৭ নম্বর ঢলুয়া , আয়লা পতাকাটা ও ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় বরগুনা জেলায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
এজে