ঢাকা: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি হাসান হাফিজসহ তিনজন। একই সঙ্গে ৩৯ জন সাংবাদিককে লেখক সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার ও লেখক সম্মাননা ২০২২’ এ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিজয়ীদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি চমৎকার উদ্যোগ। এ পুরস্কারের মাধ্যমে সাংবাদিকরা উৎসাহিত হবেন। আমরা একসময় দরিদ্র ছিলাম, এখন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। তবে মেধা ও মননের দিক দিয়ে আমরা সবসময় সমৃদ্ধ জাতি। ভারতসহ যেখানেই গেছি সবাই বলে সাহিত্য ও সঙ্গীত চর্চায় আমরা এগিয়ে। আমরা সারা বিশ্বের কাছে এগিয়ে, আমরা সাহিত্যে নিয়ে গর্ব করতে পারি।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরাও সাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে মেধা ও মননের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাই যারা আজ সাহিত্যে পুরস্কার পেয়েছেন তাদের আমি অভিনন্দন জানাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ডিআরইউ’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন। আগামীতে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পুরস্কার পাওয়া রাজীব নূর বলেন, সাংবাদিকতা করতে গিয়েই লেখালেখিটা অব্যাহত আছে। প্রাণের সংগঠন থেকে পুরস্কার পেয়ে আমি আনন্দিত।
কবি হাসান হাফিজ বলেন, সাংবাদিকতা এক ধরনের সাহিত্য, তারপর এধরনের চর্চা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে।
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিআরইউ’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন।
এবার কাব্যে (কবিতা/ছড়া) হাসান হাফিজ (আমার দেশ), কথা সাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস) রাজীব নূর এবং মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ক্যাটাগরিতে এম মামুন হোসেন (সময়ের আলো) ‘ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার ও লেখক সম্মাননা ২০২২’ বিজয়ী হয়েছেন।
রাজীব নূর গল্পগ্রন্থ ‘পুরুষ, পিতৃত্ব ও অন্যান্য গল্প’র জন্য, হাসান হাফিজ কাব্যগ্রন্থ ‘নদী নয় মানুষের মতো অনুদার’ এবং এম মামুন হোসেন তার ‘আদি অন্তে ঢাকা’ গ্রন্থের জন্য বিজয়ী হয়েছেন।
যারা সম্মাননা পেয়েছেন
কথা সাহিত্য (গল্প/উপন্যাস): হাবিবুল্লাহ ফাহাদ (খৈয়া গোখরার ফনা), প্রণব মজুমদার (তোমাদের গল্প), মাইদুর রহমান রুবেল (ভূতের করোনা পজিটিভ), মুস্তাফিজ শফি (স্পর্শ), আমিরুল মোমেনীন মানিক (আরতুগ্রুল বাঙালি), দীপক চৌধুরী (ভোগ), ইন্দ্রজিৎ সরকার (অথবা অন্য কেউ), জীবন ইসলাম (একাত্তরে শিলারা), আসাদুজ্জামান অংশুমান (জয়ামায়া), শাহীন চৌধুরী (জাফলং থেকে সুন্দরবন) ও হক ফারুক আহমেদ (জলের জমিন)।
কাব্য (কবিতা/ছড়া): নির্মল চক্রবর্তী (ঈগলের মতো প্রসারিত হাত), আমিরুল মোমেনীন মানিক (ফেরেশতার সুগন্ধি রুমালে আমার আত্মা), রীতা নাহার (চান্দ্রসিক গল্পের রেশ), আব্দুল মান্নান (পরিযায়ী প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধ), সাজেদা পারভীন সাজু (অপেক্ষা), মুহাম্মদ আব্দুল বাতেন (রাত্রিকালীন পাখির স্বর) ও আইরিন নিয়াজী মান্না (নির্বাচিত ১০০ ছড়া)।
মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা): আশিস সৈকত (খবরের ভেতরের খবর), মোহাম্মদ আল মাসুম মোল্লা (ভাষান চর), জাকির হোসেন (গণমাধ্যম বিদ্রোহী মার্চ), আবদুল্লাহ জেয়াদ (চলচ্চিত্রের কারিগর আজিজুর রহমান), আবু আলী (শেয়ার বাজারের সহজ পাঠ), পার্থ সঞ্জয় (কান ডায়েরি ওহ বাংলাদেশ), জান্নাতুল বাকেয়া কেকা (বিভুঁইয়ে সাংবাদিকতা), শামসুজ্জামান শামস (বাঙালির ১০ উৎসব), সুমি খান (গণহত্যার ঘাতকেরা সক্রিয়: টার্গেট পিতা মুজিব থেকে ত্রাতা হাসিনা), শামীম আল আমিন (দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ), মোরসালিন আহমেদ (ভারোত্তোলনে বাংলাদেশ), আসাদুজ্জামান সম্রাট (দেশ থেকে দেশে), ইমরান উজ জামান (বাংলাদেশের মেলা পার্বন), মানিক মুনতাসির (মুখোশের আড়ালে মুখোশ), উদিসা ইসলাম (রাষ্ট্রনায়ক), তারিকুল ইসলাম মাসুম (করোনা), আলতাব হোসেন (জলবায়ুর দৃশ্যমান প্রভাব প্রেক্ষিত বাংলাদেশ) ও জি এম ফয়সাল আলম (১৯৭১ অজানা গণহত্যা)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস