মাদিয়া আহমেদ চৌধুরী, তৃতীয় বর্ষ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর তরুণ সমাজ এখন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে সত্যিকারের বৈষম্যহীন এক দেশ হিসেবে দেখতে চায় তারা।
শিক্ষা, চিকিৎসা, বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে আমরা যেন উন্নত হতে পারি। বোধশক্তি হওয়ার পর থেকে যেমন নির্বাচন দেখে আসছি, তার থেকে ভিন্ন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবার আমরা দেখতে চাই। এমন নির্বাচন প্রত্যাশা করি, যে নির্বাচনে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটবে। নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে না।
কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার, ভোট ডাকাতি, রাতের ভোট, বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি হওয়া বন্ধ হবে। রাজনীতি প্রসঙ্গে যদি আসি তাহলে পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি ছাড়া ভিন্নধর্মী এমন রাজনীতির নিদর্শন চাইব, যার মূলনীতি অতীতকে কেন্দ্র করে চলার পাশাপাশি ভবিষ্যৎকেও ঠাঁই দেবে। ক্ষমতা লাভ এবং প্রদর্শনের জন্য নয়; রাজনীতি হবে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য।
তরুণসমাজ আমি মনে করি, রাষ্ট্র এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন গর্ব করে বিশ্ব দরবারে বলতে পারি আমাদের বাংলাদেশের কথা। তবে শিক্ষা ও চিকিৎসাক্ষেত্রে পরিবর্তনটাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত। পাশাপাশি সবার জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও গুরুত্বপূর্ণ। মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধিরও প্রয়োজন আছে।
আমার ধারণা, নারীর ক্ষমতায়ন এখন সময়ের দাবি। নারীদের প্রতিনিয়তই হয়রানির শিকার হতে হয়।
আত্মরক্ষার জন্য নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি এই ধরনের অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। চব্বিশের এই বিপ্লবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সব শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এই পুনর্গঠিত রাষ্ট্রে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার স্বপ্ন হচ্ছে বৈষম্যবিহীন ও দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ গঠন, যেখানে কারো অধিকার ক্ষুণ্ন হবে না। সর্বোপরি এমন দেশ আমি চাই, যে দেশ উত্তরোত্তর উন্নতির দিকে ধাবিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৫