ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিরোধী দলের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে শামীমের আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
বিরোধী দলের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে শামীমের আহ্বান পুরোনো ছবি

ঢাকা: সুশাসনের জন্য বিরোধী দলের কিছু কিছু যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

জাতীয় সংসদের অধিবেশন পরিচালনা করেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি দরকার একটি রাজনৈতিক সমঝোতা। একটি অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত সংস্কার। তা না হলে আমাদের অর্থনৈতিক হোঁচট খাবে। ক্রমবর্ধমান হারে রিজার্ভ কমছে। তাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ বিশেষ প্রয়োজন। তবে সুশাসনের জন্য বিরোধী দলের কিছু কিছু যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) ধন্যবাদ জানাই। উনি পদ্মা সেতু করেছেন, মেট্রোরেল করেছেন। উনি কভিড-১৯ মোকাবিলা করেছেন। টিকা নিয়ে এসেছেন, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরও বেশী করে ধন্যবাদ উনি বর্তমানে সারা বিশ্বের সঙ্গে আমরা যে সঙ্কট মোকাবিলা করছি তা অস্বীকার করেননি। সঙ্কট সমাধানের চেষ্টা করছেন, তার জন্য বেশ কয়েকটি প্যাকেজও নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে দেশ বেশ কয়েকটি সঙ্কটে রয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বড়টা হচ্ছে সুশাসনের অভাব। এছাড়া রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবও ছিল। দেশকে গতানুগতিকভাবে পরিচালিত করলে হবে না, সংশোধিত অ্যাপ্রোচ চালাতে হবে।

শামীম আরও বলেন, দেশকে বাঁচানোর একমাত্র পথ হচ্ছে রেমিটেন্স। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য বৈধ পথকে উৎসাহিত করতে হবে। প্রবাসীদের জন্য ওয়ানস্টপ সল্যুশন দেওয়া; অর্থাৎ পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহজ করতে হবে। রেমিটেন্স দ্রুত কমে যাচ্ছে, ডলার বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। যেমন, অনেকেই বিদেশে লাখ লাখ এমনি কোটি ডলার দিয়ে বাড়ি কিনেছেন, বানিয়েছেন। তারা ট্যাক্স ফাইলে এগুলো দেখাতে পারছেন না। এদেরকে যদি বিশেষ সুবিধা দেওয়া যায় তাহলে তারাও ট্যাক্স ফাইলে এগুলো দেখিয়ে এ ইনভেসমেন্ট বৈধ করতে পারেন। এতে ডলার বাড়বে। এছাড়া বিদেশি ডোনাররা যখন এনজিওগুলোকে ফান্ড পাঠায় তখন তা রিলিজ করতে বেশি সময় লাগে। এ জন্য অনেকেই ফান্ড পাঠাতে রাজি হচ্ছেন না। এটা সহজ করা দরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।