ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ষড়যন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের প্রয়োজন সরকারের পতন: আ স ম রব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
ষড়যন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের প্রয়োজন সরকারের পতন: আ স ম রব

ঢাকা: স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ভোটারবিহীন অনির্বাচিত এবং অসাংবিধানিক সরকারের পতন ঘটবে কোনো ষড়যন্ত্রে নয়, সরকারের পতন ঘটবে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, জনগণের পরিকল্পনায়।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পুরানা পল্টনে ফেনী জেলা সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেএসডি প্রধান বলেন, জনগণের সম্মতিবিহীন এবং অবৈধ সরকারকে বিদায় করা জনগণের রাজনৈতিক কর্তব্য। সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা ঐতিহাসিকভাবে অনিবার্য হয়ে পড়েছে। সরকারের কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। এসব ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দিয়ে অভ্যন্তরীণ বা ভূ-রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সুতরাং জাতীয় স্বার্থেই সরকারের পতন এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ভাগ্যের কী পরিহাস স্বাধীন দেশে আজ ভিন্নমত দমনে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ‌‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করে কর্তৃত্ববাদী শাসনের সামাজিক ভিত্তি রচনা করা হচ্ছে। ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগহীন রাষ্ট্র পরিচালনার চলমান দুঃসহ ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন আওয়ামী লীগ বিরোধী মতাদর্শীরা ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধুকেও নিষিদ্ধ করে দেবে। ভিন্নমত দমন বা কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করা ভয়ংকর অন্যায়। সেদিন পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ভিন্নমতকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দিলে বিশ্ব মানচিত্রে আজ আমাদের স্বাধীন অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যেত না।

আ স ম রব আরও বলেন কর্তৃত্ববাদ বিরোধী চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীসহ সব সমাজশক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে তিনি আন্দোলনরত সব দল ও জোটকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তানিয়া রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, অ্যাড. কে এম জাবির, হীরালাল চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জবিউল হোসেন, সোহরাব হোসেন, অ্যাড. মিয়া হোসেন, আমিন উদ্দিন বিএসসি, অ্যাড. সৈয়দা ফাতেমা হেনা, আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, আব্দুল লতিফ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, আমির হোসেন বিএসসি, লোকমান হোসেন, অ্যাডভোকেট বিকাশ চন্দ্র সাহা, মোশারফ হোসেন, মতিউর রহমান মতি, আমির উদ্দিন মাস্টার, অধ্যক্ষ আব্দুল মোতালেব, অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা শাহজাদ ভূঁইয়া, এস এম শামসুল আলম নিক্সন, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, মুজতবা কামাল, আব্দুল মান্নান মুন্সী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইকবাল খান জাহিদ, মীর জিল্লুর রহমান, অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ বাবুল, ফারজানা দিবা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।