ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নির্বাচনে না এলে আ. লীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: আব্বাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
বিএনপি নির্বাচনে না এলে আ. লীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: আব্বাস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস

ঢাকা: বিএনপি নির্বাচনে না এলে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শনিবার (৪ মার্চ) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, বেগম খালেদা জিয়াসহ কারবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে আয়োজিত এক গণ পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে শাহবাগ থানা বিএনপি।

বিএনপি কারো হুমকি, ধামকিতে ভয় পায় না উল্লেখ করে সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের কেউ কেউ বলছেন, এ নির্বাচনে না গেলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিএনপির জন্য তাদের (সরকার) কত দরদ। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে কে সংকটে পড়বে সেটা দেখার বিষয়। বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায়, তাহলে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

বিএনপি কখনোই অস্তিত্ব সংকটে ছিল না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হলো দেশ ও বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য। কিন্তু বিএনপি টিকে থাকলো। বিএনপিকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি। বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে কখনো ছিল না, আজও নেই, আগামীতেও কখনো থাকবে না।

বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যারা লুটপাট করেছেন, তাদের টিকিটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এজন্য তারা (সরকার) সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চান না।

বিএনপি সংবিধানের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায় উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের পোস্ট মার্টেম করা কাটা-ছেঁড়া সংবিধানের মধ্য দিয়ে বিএনপি কখনো নির্বাচনে যাবে না। যে সংবিধান বহাল ছিল, সে সংবিধানের অধীনে বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। সংসদে কাটা-ছেঁড়া করে আওয়ামী লীগ যে সংবিধান কায়েম করেছে, ওই সংবিধানের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিল জামায়াত। জামায়াতের লেজ ধরে আওয়ামী লীগ বলেছিল, এ মুহূর্তে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারা আরও স্লোগান দিয়েছে, ভোট চোরদের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। এগুলো আওয়ামী লীগেরই দাবি ছিল। আমাদের (বিএনপির) দাবি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ছলচাতুরি, বাকচাতুরি, গলাবাজি করে দেশের মানুষকে ঠকানো যাবে, কিন্তু চিরদিনের জন্য ঠেকানো যাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ দল। বিএনপি যতদিন ক্ষমতায় ছিল, ততদিন দেশ শান্তিতে ছিল। আওয়ামী লীগ আসার পর দেশটা অশান্তিতে ভরে গেল। লুটপাট, চুরি, ডাকাতি, টাকা পাচার, ডলার পাচার, মানুষ পাচার সবকিছু দিয়ে দেশটা আজকে অশান্তিতে ভরে গেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। শুধু কমে গেছে মানুষের দাম। মানুষের কোনো দাম নেই এখন এ দেশে। মানুষ যখন নিজের দামের দাবি করতে আসে, তখন এ সরকারের বন্দুক থেকে বুলেট ফুটে, গ্রেফতার হয়, মানুষ মারা যায়। এ দাবিগুলো তুললেই বিএনপিকে ষড়যন্ত্রকারী দল বলাসহ নানা ধরনের কথা বলা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সদস্য সচিব সবুজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক নুরুল আমিন তুহিনসহ শাহবাগ থানা বিএনপির ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশ শেষে তারা গণ পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি পুরানা পল্টন, বিজয় নগর হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়:১৭০২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।