ঢাকা: নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে শেখ হাসিনার অধীনেও কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমান উল্লাহ আমান।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে 'স্বাধীনতার ৫২ বছর ও বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা' শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ১০ দফা দাবির প্রথম দফা হচ্ছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা। এজন্যই শেখ হাসিনা ভয় পাচ্ছেন। কারণ তিনি তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তিনি একজন অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তার এমপি, মন্ত্রীরাও অনির্বাচিত। জনগণ আগামীতে অনির্বাচিত এ এমপিদের সংসদ থেকে বের করে নিয়ে আসবে; যদি তারা স্বেচ্ছায় না বের হন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে শেখ হাসিনার অধীনেও নির্বাচন হবে না। তার অধীনে নির্বাচন হলে ভোট চুরি হবে; সেখানে জনগণের সরকার কায়েম হবে না।
তিনি বলেন, এরশাদের পতন হয়েছিল পেশাজীবীদের রক্তের বিনিময়ে। আজকে নির্যাতন কোন পর্যায়ে গিয়েছে যে, হজে যাবে তাই আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে বনানী ক্লাবের রেস্টুরেন্টে খেতে বসেছে। সেখান থেকে ৫৩ জনকে ধরে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা দিয়ে দিল। রাওয়া ক্লাবে খেতে বসছে সেখান থেকেও ধরে নিয়ে গেল। এখন দেখা যাচ্ছে যে, বিএনপি নেতাকর্মীরা যেখানেই বসে সেখানেই সরকার আক্রমণ করছে। কারণ শেখ হাসিনার ভয় কাজ করছে। অতীতের যে দমন নিপীড়ন করেছে, এখনো সরকার তাই করতে চাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সব খাতই বিপর্যস্ত। এর মধ্যে আমদানি নির্ভর ওষুধ শিল্প ডলার সংকটের কারণে অনেক দুরবস্থায় আছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওষুধের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন সাধারণ মানুষের দুঃখ দূর হবে না।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ। সঞ্চালনা করেন ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো আব্দুস সালাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
ইএসএস/এসআইএ