সিলেট: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে লায়েক মিয়া (৪৫) নামে এক যুবলীগ কর্মী খুন হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে থানা সংলগ্ন সুরমা নদীর তীরে গণেষপুর খেয়াঘাট এলাকায় একটি চা স্টলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লায়েক মিয়া ছাতক পৌর শহরের মন্ডলীভোগ মহল্লার মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগ নেতা। তিনি ছাতক পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে থানা সংলগ্ন সুরমা নদীর তীরবর্তী গনেষপুর খেয়াঘাট এলাকায় একটি চা স্টলে বসে চা পানরত অবস্থায় উপজেলা যুবলীগ কর্মী লায়েক মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা হয়। উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই আব্দুল কুদ্দুছ শিপলু ও তার সহযোগীরা লায়েককে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন তাদের ধাওয়া করলেও ধরতে ব্যর্থ হন।
তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় লায়েক মিয়াকে উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত পৌনে ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মন্ডলীভোগ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মন্ডলীভোগ লাল মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লায়েক মিয়া ও এরশাদ আলী পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার লায়েক মিয়া পক্ষের কাজল মিয়া ও এরশাদ আলীর নাতি আব্দুল কুদ্দুছ শিবলুর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিবলু আহমদকে চড়-থাপ্পর মারেন কাজল মিয়া। এ নিয়ে দুইদিন ধরে উত্তেজনা চলে আসছিল। এরই জের ধরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে লায়েক মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে এরশাদ আলীর নাতি শিবলু ও তার সহযোগীরা।
এ বিষয়ে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মঈনুল জাকির বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ ) ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
এনইউ/এএটি