কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেছেন, দেশের দুর্যোগ মোকাবেলা ও পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান সরকার কাজ করে যাছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার পেয়েছেন।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ঘাঘর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন শেষে বণিক সমিতির কার্যালয়ে বসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের যে কোনো দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকেন। সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া সকল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। কোটালীপাড়ার ঘাঘর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদেরও প্রাথমিকভাবে একটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে তার নির্বাচনী এলাকার এই ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন করে কিছু করার চিন্তা করেছেন। আমি তাঁর নির্দেশে আজ এখানে এসেছি।
বর্তমান বোরো মৌসুমে দ্রুত ধান কাটার জন্য সকলকে তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকায় এ বছর গত বছরের চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ জমির ধানই পেকে গেছে। ধান কাটার জন্য শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী এলাকার দরিদ্র কৃষকদের কথা চিন্তা করে কোটালীপাড়া-টুঙ্গিাপাড়ায় ৪টি হারভেস্টার মেশিন দিয়েছেন। এই হারভেস্টার মেশিন দিয়ে বিনামূল্যে দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, আব্দুল খালেক হাওলাদার, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, ঘাঘর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ইউপি চেয়ারম্যান যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
ঘাঘর বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, গত শনিবার (ঈদের দিন) রাতে ঘাঘর বাজারের বেপারী পট্টির ৩৪টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অধিকাংশই ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করছেন। ব্যাংক লোন মওকুফসহ সরকারিভাবে সহযোগিতা না করলে এ ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে।
মতবিনিময় সভা শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়।