খুলনা: খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ১ হাজার ৩০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ মে) রাতে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
শনিবার (২০ মে) খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, শুক্রবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও খুলনা মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সোহেল রানা (২০), গাজী সালাউদ্দীন (৪২), মো. আতাউর রহমান (৪৮), মো. সেকেন্দার শেখ (৬০), মো. শাইখুল মোল্যা (৩৪), মো. ওয়াহিদ শেখ (৩২), মো. রাসেল (২৪), রাব্বি চৌধুরী (২৯), মাহবুব গাজী (২৬), মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), মো. রাজু শেখ (৪১), মো. আলিফ মিলন (৩১) ও মো. রাসেল (২৭)।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান করে বিএনপি। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, সমাবেশে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এমআরএম/আরবি