বরিশাল: আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচন উপলক্ষে প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার মধ্য দিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা বরিশাল নগরী।
এরই মধ্যে মেয়র প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরের প্রধান প্রধান সড়ক।
শুক্রবার (২৬ মে) বিকেল থেকে নগরজুড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলারে মাইক লাগিয়ে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় গান ও গজলের ছন্দের ব্যবহারও করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রচারণার বাহনগুলোতেও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রার্থীর পোস্টার।
এদিকে নগরের বিভিন্ন মসজিদে জুমা আদায় করে প্রচারণায় নামেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
শুক্রবার (২৬ মে) বাদ জুমা নগরের সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল চত্বর থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। এসময় প্রার্থীর সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয়, জেলা-মহানগর ও স্থানীয় তৃণমূল নেতার উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে নগরের রূপাতলীতে হাউজিং স্টেট জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে প্রতীক বরাদ্দের পরেই লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসকে নিয়ে গোটা নগর চষে বেড়িয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় তার সঙ্গে জাতীয় পার্টির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, বিকেলে নগরের কালুশাহ সড়কের আলেকান্দা জামে মসজিদে জুমা আদায় শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন।
এ বিষয়ে নগরের বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী খোকন বলেন, এ কয়দিন মানুষের মুখে মুখেই সীমাবদ্ধ ছিল আসন্ন সিটি নির্বাচনের কথা। আজ (২৬ মে) বিকেল থেকে মাইকের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা নির্বাচনের বিষয়টিকে জানান দিয়েছে সম্মিলিতভাবেই। এরই মধ্যে নগরের সড়কগুলো ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে। আবার অনেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকএরা লিফলেট নিয়ে আসছেন ভোট চাইতে।
তবে প্রতীক পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীর সমর্থকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল মহড়ার বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শাকিল হাওলাদার নামে এক ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে উত্তাপ ছড়াচ্ছে, যা থেকে সাংঘর্ষিক কিছু ঘটতেও পারে। তাই প্রশাসন কঠোরতা না দেখালে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে হবে। আর নাগরিকদের মাঝে ভীতি কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
এমএস/এনএস