সিলেট: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি ৪১ নেতাকর্মীকে শোকজ করা হয়েছে।
শনিবার (০৩ জুন) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী পৃথকভাবে এসব শোকজ নোটিশ ইস্যু করেছেন।
শোকজে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে মেয়র পদে একজন, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রয়েছেন চারজন।
শোকজ পাওয়া সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীরা হলেন- মেয়র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিমন। সাধারণ ১ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুফতি কমর উদ্দিন কামু। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান মিঠু। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. কামাল মিয়া। খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ চৌধুরী শামীম। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সাঈদুর রহমান জুবের। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রহিম মতছির। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম মুনিম। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মুজিবুর রহমান। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ.বি.এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সালমান চৌধুরী শাম্মী। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বদরুল আজাদ রানা। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মামুনুর রহমান মামুন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ূন কবির সুহিন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ ও সেলিম আহমদ রনি। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আলী আব্বাস। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাহেদ খান স্বপন। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া ও সানর মিয়া। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আব্দুল মুকিত। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট হেদায়াত হোসেন তানভির ও দুলাল আহমদ। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে গউছ উদ্দিন পাখী ও দেলওয়ার হোসেন নাদিম। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে দিলওয়ার হোসেন জয়। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে উসমান হারুন পনির, ৩৯ ওয়ার্ডে জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল হাছিব এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে সুমন আহমদ সিকদার।
সংরক্ষিত ২২, ২৩, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সালেহা কবির শেপী; ১০, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রুহেনা বেগম মুক্তা ও অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন এবং ১৬, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুন নাহার।
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে বলা হয়- 'বিগত ১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ দেশপ্রেমিক জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে কারাভোগ করছেন। নিপীড়ক সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন এবং প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। ইতোমধ্যে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করে রাখা হয়েছে।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো প্রকার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ দলের সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে দলীয় বড় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। সুতরাং কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দেখিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হইল।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে শোকজের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৩
এনইউ/এসআইএ