কক্সবাজার: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, পিতার পরিচয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার দিন শেষ। পিতা ত্যাগী ও দলের পরীক্ষিত নেতা হতে পারেন।
সোমবার (৫ জুন) বিকেলে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি ও ইনস্টিটিউটের শহীদ সুভাষ হলে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জুলি ও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় পৌর নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা শ্রাবণের বাবা যশোর কেশবপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি। পিতা আওয়ামী লীগের নেতা বলে ছেলে যে একই আদর্শের সৈনিক হবে তা কিন্তু না। নির্বাচন এলেই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে প্রার্থী হবেন আর পিতার পরিচয় দিয়ে বেড়াবেন, এটা আর হবে না। বঙ্গবন্ধু নিজেও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের পছন্দ করতে না, উগ্রতাকে পছন্দ করতে না। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরে ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরার দিন শেষ। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তারা আর দলে আসতে পারবেন না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার প্রতীক, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু শুধু মাত্র বাংলার বন্ধু না; তিনি বিশ্ব বন্ধু। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জুলি ও কুরি পদক প্রাপ্তির পর তিনি বিশ্ব বন্ধু হিসেবে প্রমাণিত হন।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে হানিফ বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা একটি ভিসানীতির কথা বলেছেন। তারা (বিএনপি) বলেছেন, যারা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন তাদের ভিসা দেওয়া হবে না। আমরা (আওয়ামী লীগ) এ কথাকে স্বাগত জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। যারা প্রতিবন্ধকতা করবেন তারাই এটা নিয়ে সমস্যায় পড়বেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিজয় নিশ্চিত করতে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যুগে যুগে আওয়ামী লীগ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ষড়যন্ত্র হয়েছে। জিয়ার খুন, গুম, নির্যাতন নিপীড়ন করে আওয়ামী লীগে ভেঙে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরও এ ষড়যন্ত্র ছিল আছে এবং থাকবে। এরপর বিজয় আমাদের হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিতের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সংসদ সদস্য (এমপি) সাইমুম সরওয়ার কমল, কানিজা ফাতেমা আহমেদ, আশেক উল্লাহ রফিক, কউকের সাবেক চেয়ারম্যান ফোরকান আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রশান্ত ভুষন বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, পৌর আওয়ামী লীগে সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
এসবি/আরআইএস