নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে দিনব্যাপী নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হলে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শাহেন শাহ। অপরদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হক রানা।
শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরের পর থেকে বন্দরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কুড়িপাড়া হাইস্কুল মাঠে বন্দর থানা বিএনপির কাউন্সিল শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, দুপুরে কাউন্সিল শুরু হলে সেখানে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু সম্মেলন ছাড়া কমিটি করার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে আগের রাতভর নানা নাটকীয়তায় সম্মেলন ছাড়াই কমিটি করার প্রক্রিয়া চলে। এক পর্যায়ে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন শাহেন শাহ। পরে তিনি সেখানে নিজেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। পরে ভোট দিতে না চাইলে এক পর্যায়ে কাউন্সিলররা ভোটগ্রহণের জন্য স্লোগান দেন।
এর মধ্যে শাহেন শাহকে লাঙল মার্কার লোক হিসেবে অবিহিত করেন টিপু। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে শাহেন শাহ মাইকে বলেন আমি কী লাঙলের লোক না কি ধানের শীষের লোক। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে ধানের শীষের লোক বললে তিনি ভোট চান এবং নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। এ রকম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান প্রধান অতিথি আজাদ। পরে নেতাকর্মীরা কাউন্সিলে ভোটগ্রহণের জন্য চাপ দিলে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়করা ও সভাপতিসহ সবার ভোটের ব্যাপারে সম্মত হন। এ সময় প্রধান অতিথি ফিরে আসেন এবং ভোটের ব্যবস্থা করেন।
পরে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজের বাসায় ভোটগ্রহণ হয় এবং ৪৫ জন কাউন্সিলর ভোট দেন। এ সময় ২৪ ভোট পান শাহেন শাহ ও ২১ ভোট পান নূর মোহাম্মদ পনেছ। পরে সবাইকে নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম আজাদ।
মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, কাউন্সিলে ভোটগ্রহণ হয়েছে এবং শাহেন শাহ ২৪ ভোটে জয়লাভ করেছেন। আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রানা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
এমআরপি/আরবি