ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংলাপ নিয়ে আশার প্রদীপ এখনও নিভে যায়নি: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
সংলাপ নিয়ে আশার প্রদীপ এখনও নিভে যায়নি: কাদের

ঢাকা: বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আশার প্রদীপ এখনও নিভে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগ এখনই ভাবছে না বলে জানান তিনি।

শুক্রবার (৯ জুন) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

আওয়ামী লীগ ও সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ নিয়ে আশার প্রদীপ এখনও নিভে যায়নি। সংলাপ হবে কি না তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। তবে এখনই সংলাপ নিয়ে ভাবা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আশার প্রদীপ কোনো দিনও নেবে না। কিন্তু আজকে আপনি আমাদের বলতেছেন সরকারি দলকে সংলাপের কথা। আমরা আপাতত এ নিয়ে ভাবছি না। গতকাল বলেছি, সংলাপ নিয়ে এ মুহূর্তে আমাদের কোনো ভাবনা নেই। আমাদের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। সিদ্ধান্ত নেই। ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে বলতে পারব। এ মুহূর্তে নেই। তারা (বিএনপি) বারবার একই কথা বলে, বিগত নির্বাচনে তারা বারবার একই কথা বলেছে। পানি ঘোলা করে নির্বাচনে আসেনি। এবার কি হবে জানি না। নির্বাচন ছাড়া তাদের আগুন সন্ত্রাস তৎপরতা, নির্বাচনে বাধা দেবার ইচ্ছা থাকতে পারে। তবে তারা আওয়ামী লীগের জন্য নিষেধাজ্ঞা আনতে গিয়ে তারা এখন নিজেরাই ভিসানীতির ফাঁদে পড়েছে। ভিসা নিতে এসব আগুন সন্ত্রাস, নির্বাচনে বাধা দেওয়া, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ওই নিয়ম নীতির আওতায় পড়ে। এটা শোনার পরে তাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। মুখে যদিও বলছে না।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের মধ্যে নেগেটিভ মনোভাব পোষণ করছে। যে নেতিবাচক বিষয়টা তারা নিয়ে আসছে- তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এ তিনটি না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। আমরা বলেছি- এ তিনটি বিষয়ে কোন কারণে সরকার পদত্যাগ করবে? কোন কারণে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন? কোন কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার? তারা বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়েছে। উচ্চ আদালত দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ না। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা ডেড ইস্যু। এটাকে নতুন করে জীবিত করবো কেন? এটা তো আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে কেন হবে না? আমাদের সংবিধান আছে। আর প্রধানমন্ত্রী কী কারণে পদত্যাগ করবেন? সংসদের সদস্যরা কী তাকে চান না? পার্লামেন্টে যদি তিনি মেজরিটি হারান তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এসকে/এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।