নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে ৩১ বছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে যাচ্ছে মহানগর বিএনপির। মূলত এটি আগে শহর বিএনপি বা পৌর বিএনপি হিসেবে পরিচিত ছিল।
রোববার (২৫ জুন) মহানগর বিএনপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে। মহানগর বিএনপির ইউনিট হিসেবে এটি প্রথম কোনো সম্মেলন নারায়ণগঞ্জে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বাধা না থাকলে শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতি মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আগামী ১৫ জুলাই ঈদের পর সম্ভাব্য সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন দলটির নেতারা। তবে ৮ জুলাই বিকল্প তারিখ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সম্মেলনের অনুমতি পাওয়া ও অতিথিদের সময় পাওয়া সাপেক্ষে সময় নির্ধারিত হবে।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব করা হয় অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে। কমিটি ঘোষণার পর পরই দেখা দেয় বিদ্রোহ। কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন ১৫ নেতা। পরবর্তীতে আরও একজন যুগ্ম আহ্বায়ক কমিটির বিরোধিতা করে নানা বক্তব্য দেন। সব মিলিয়ে বিদ্রোহীদের নিয়ে সম্মেলনে অনেকে শঙ্কাও প্রকাশ করছেন।
জানা যায়, সম্মেলনে ৩৪৪ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে মহানগর বিএনপির আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। সম্মেলনে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহানগর বিএনপির ৪১ জন, সদর থানা বিএনপির ১০১ জন, বন্দর থানা বিএনপির ১০১ জন ও বন্দর উপজেলা বিএনপির ১০১ জন সদস্য এতে ভোট দেবেন। এতে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডেলিগেট হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়াও এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর কথা রয়েছে।
১৯৯২ সালে শহরের চাষাঢ়া জিয়া হলে সর্বশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে শহর বা পৌর বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছিল। সে সময় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম সভাপতি ও নাজির প্রধান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর মহানগর বিএনপির কমিটিগুলো কেন্দ্র থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। ২০০৯ সালে শহর বিএনপির জেলা বিএনপির অধীনে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এর আগে ২০০৩ সালে আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও রফিক কমিশনারকে সদস্য সচিব করে ও ২০১৭ সালে আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।
ঈদের পরে মহানগর বিএনপির সম্মেলনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এরপর তফসিল ঘোষণা করা হলে সে তফসিল অনুযায়ী হবে সম্মেলন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমাদের সাফল্য এটুকুই আমরা সব ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পেরেছি। এখন মহানগরের নেতৃত্ব নেতাকর্মীরা নির্বাচিত করবে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফাতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন জানান, আমরা বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র দেখিয়ে আমাদের অধীনস্থ সব ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের মতামতের প্রাধান্য দিয়ে তাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত করেছি। এখানেও একইভাবে সম্মেলন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ