ঢাকা: গত কয়দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ এবং একে অন্যকে বহিষ্কার ও অব্যাহতির মতো ঘটনা ঘটছে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। এতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে রাজনৈতিক এই দলটি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে নুরকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
গণঅধিকার পরিষদের ভেতরে দুই পক্ষ হওয়ার কারণ কি জানতে চাইলে নুর বলেন, এখানে অনেকে আছে যারা বিভিন্ন অপকর্মের কারণে দলে কোণঠাসা। তারা অনেকদিন ধরে বিভিন্ন ছোট ছোট দলের সঙ্গে মিলে আরেকটি দল করা, অন্য দলে যোগ দেওয়ার মতো কাজ করছে। সরকার যেহেতু বুঝতে পেরেছে, গণঅধিকার পরিষদ একটি তারুণ্যের শক্তি, তরুণদের দল, আগামীর আন্দোলনের একটি শক্তি হবে। কাজেই এদেরকে বিভ্রান্ত করা, চরিত্র হরণ করা, ভাগ করার ফাঁদ পাতছে সরকার। কিছু নেতাকর্মী সরকারের সেই ফাঁদে পা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা নানা ধরনের খেলা খেলছে। বিভিন্ন দলকে ভাঙতে সেসব দলের দলছুট-পদবঞ্চিত নেতাদের কোরবানির পশুর মতো টাকা দিয়ে কিনছে নির্বাচনে নেওয়ার জন্য বা সরকারের পক্ষে কাজ করার জন্য। গণঅধিকার পরিষদের একটি বড় কেন্দ্রীয় কার্যালয় আছে। আমরা সমস্ত সংবাদ সম্মেলন সেখানে করেছি।
এর আগে একইদিন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে নুরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে গণঅধিকার পরিষদের আরেকাংশের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার সমর্থকরা।
এ বিষয়ে নুর বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সংবাদ সম্মেলন প্রেসক্লাবে করিনি। যারা কার্যালয়ে যেতে পারে না, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই, তারাই গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী দাবি করে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে তারা কি বলেছে সেটা আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়।
প্রতিমন্ত্রীসহ ৯টি আসন পাওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, এটা কে বলেছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন। এটা ঠিক যে, বিএনপি একটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা ক্ষমতায় গেলে সব আন্দোলনকারী দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার করবে৷ আমরা যেহেতু বিএনপির আন্দোলনে আছি, সেহেতু আমরা আশা করি বিএনপি আমাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবে৷ সেক্ষেত্রে বিএনপি যদি ভবিষ্যতে এমপি-মন্ত্রী বানায়, সেটা বানাতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৩
এসসি/এসএএইচ