ঢাকা: পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব ঠিক করতে কাউন্সিল করছে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ।
সোমবার (১০ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুর ১টা থেকে ভোট শুরু হয়।
এই নির্বাচনে সভাপতি পদে তিনজন এবং সাধারণ সম্পাদক পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে বর্তমান সদস্য সচিব নুরুল হক নুর ছাড়াও আছেন বায়েজীদ হোসেন শাহেদ ও নাজম-উস-সাকিব।
আর সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য রয়েছেন দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াকে বাদ দিয়ে আহ্বায়কের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা রাশেদ খান এবং বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান খান, জিলু খান ও হাসান আল মামুন।
এ ছাড়া উচ্চতর পরিষদে আটটি পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮ প্রার্থী। তারা হলেন- শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান সজিব, ফিরোজ আহমেদ, আবু হানিফ, শহীদুল ইসলাম ফাহিম, আনিসুর রহমান মোল্লা, ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী, ফাতেমা তাসনিম,সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সাদ্দাম হোসেন, আল আমিন মিনা, মো. জসিম উদ্দিন, মঞ্জুর ইসলাম, এসএম সাফায়েত, আবদুল্লাহ আল মামুন সুজন ও আব্দুজ জাহের।
এই নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২১৬ জন। এর মধ্যে উচ্চতর পরিষদের ভোটারের সংখ্যা ১২৬। বাকিরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে ভোটার তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
ভোট উপলক্ষে জামান টাওয়ারে দুই শতাধিক নেতাকর্মী সমবেত হয়েছে। তবে নেতাকর্মীদের মধ্যে তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। কেউ কেউ বলেছেন, দুই গ্রুপ হওয়ায় পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
জোনাব আলী এক কর্মী বলেন, ভাই যাই বলেন আমরা সবাই ইয়ং। কিন্তু আজ গণ অধিকার পরিষদের যেমন শক্তি প্রদর্শন হওয়ার কথা ছিলো, সেটা কিন্ত আপনি দেখছেন না। এর কারণ হলো বিভক্তি।
গত ২ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের জাতীয় কাউন্সিল ও উচ্চতর পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চার সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করা হয়।
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামকে। নির্বাচন কমিশনার করা হয় সহকারী আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৌফিক শাহরিয়ার, সহকারী আহ্বায়ক মাহবুব জনি ও সদস্য তোফাজ্জল হোসেনকে।
২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে দলটি। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার আগেই দলে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
টিএ/আরএইচ