ঢাকা: বিএনপির সমাবেশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা বিকেল বেলা জনসমাবেশ করবেন, তারা সবাই হুকুমদাতা আসামি। তারা এই (২০১৩-১৪ সালে বিএনপির হরতাল অবরোধে নিহত) নির্মমতার জন্য দায়ী।
বুধবার (১২ জুলাই) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের মানাবাধিকার লঙ্ঘন, অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানুষ পোড়ানোর প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৭ সালে। একজন সেনা অফিসার কিংবা বিমান বাহিনীর অফিসার ঘুমিয়ে আছে, তাকে হঠাৎ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে জেল, ফাঁসি দেওয়া হয়। এমনও ঘটনা ঘটেছে নাম মিল থাকার কারণে একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে যখন ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন সে আর্তনাদ করছে আমি নই, আমি নই। কিন্তু কে শোনে কার কথা, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে কিন্তু কোর্ট বসেছে পরে। রায় দিয়েছে পরে। এভাবে জিয়াউর রহমান নির্মমতা বর্বরতা চালিয়েছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে যারা এখানে সমাবেত হয়েছেন এরা রাজনীতি জানে না, রাজনীতি করে না, রাজনীতি বোঝে না। এরা সাধারণ মানুষ। এদের কোনো অপরাধ নাই। নিতান্তই জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বেরিয়েছিল। তাদের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বেগম খালেদা জিয়ার পেটোয়া বাহিনী, সন্ত্রাসী বাহিনী। তারেক জিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনী, মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাসসহ এদের নেতাদের পরিচালনায় অর্থায়নে তাদের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
রাস্তায় অবস্থান করা ট্রাক ড্রাইভারকে নির্মম নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলোর জন্য দায়ী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস। এরা আজকে বড় বড় কথা বলে। বিকেলবেলা যারা জনসমাবেশ করবে তারা সবাই হুকুমদাতা আসামি এবং এই নির্মমতার জন্য দায়ী।
মন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলে, যারা মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, বাংলাদেশকে যারা আহবান জানায় তাদেরকে বলব এসে দেখে যান, এদের বক্তব্য শুনুন। তাদের আর্তনাদ শুনুন। আগে এদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে তাহলেই সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, আমরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল, যে দলের জন্ম হয়েছিল ক্যান্টনমেন্ট থেকে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা বিশ্বাস করে সন্ত্রাসে।
অধ্যাপক আবদুর রহিম বলেন, এদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ। গণতন্ত্রের দেশ। এখানে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই। বিদেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
এসকেবি/নিউজ ডেস্ক