ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে বলেছেন, আমাদের নির্বাচন কমিশন খুবই শক্তিশালী, তারা খুবই সক্রিয়।
তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
বুধবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আরেকটি বিষয় আমি তাদের বলেছি, ইউরোপের যেসব দেশ থেকে তারা এসেছেন, একজন গ্রিস, আরেকজন ইতালি ও আরেকজন পর্তুগাল থেকে। সেখানেও যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারাই নির্বাচন পরিচালনা করে। আইনানুসারে আমাদের দেশেও তাই হবে। আমরা তাদের সেটি জানিয়েছি। কিন্তু নির্বাচনের সময় সরকারের রুটিন কাজ করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা থাকে না। সরকারের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। সেটি তাদের জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন খুবই শক্তিশালী, তারা খুবই সক্রিয়।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে কারণে, গাইবান্ধা-৫ আসনে যে উপনির্বাচন হয়েছে, তাতে ২০-২৫টি কেন্দ্রে গণ্ডগোল হয়েছে, আইনানুসারে, এসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করার কথা। কিন্তু পুরো নির্বাচন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়টি আলোচনা করেছি। এর অর্থ হচ্ছে, ইলেকশন কমিশন হ্যাজ দ্য মাশল (নির্বাচন কমিশনের সেই ক্ষমতা আছে)। আমরা যদি আদালতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করতাম, তাহলে কিন্তু আমাদের পক্ষে রায় আসত। সে বিষয়টি তাদের বলেছি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বিএনপি ছাড়া এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।
বিরোধীদলকে নির্বাচনে আনা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তাদের বলেছি। তাদের পর্যবেক্ষক মিশন আসার ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই এসেছে। বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনতে তারা এখানে আসেনি। আমি তাদেরকে বলেছি, আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
আজ বিএনপির বিক্ষোভ ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ রয়েছে, এটা নিয়ে জনগণের উদ্দীপনা রয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেব না। বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। সাপের খোলস বদলানোর মতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
জিসিজি