গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা করাসহ সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে সংগঠনটি।
সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের পরিচালনায় ও সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে বক্তারা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, দুঃখজনক হলো, বিশ্বে পোশাক খাত সুনাম কুড়ালেও গার্মেন্ট শ্রমিকরা দুনিয়ার ‘সস্তা’ শ্রমিকের পরিচয় ঘোচাতে পারেননি। পারেননি দারিদ্র্যসীমা অতিক্রম করতে। হতে পারেননি ‘উন্নয়ন’ বা লাভের অংশীদার, বরং দাঁড়িয়ে আছেন বাঁচা-মরার চরম সংকটে।
নেতারা বলেন, বর্তমান বাজারে শ্রমিককে দারিদ্র্যসীমা অতিক্রম করে বাঁচতে হলে ২৫ হাজার টাকার নিচে মজুরি নির্ধারণের কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণের জন্য ঐক্যবদ্ধ-মরিয়া আন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নেই।
সাত দফা দাবি
১. কালক্ষেপণ নয়, মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম দ্রুত পরিচালনা ও মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। নতুন মজুরি ঘোষণার আগ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।
২. পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে সাত গ্রেড কমিয়ে পাঁচ গ্রেড করতে হবে।
৩. দ্রব্যমূল্য কমাতে অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। স্থায়ীভাবে রেশনিং চালু করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য জীবনবীমা, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং জরুরি তহবিল নিশ্চিতে সরকার, মালিক ও বায়ারকে দায়িত্ব নিতে হবে। তিন পক্ষকেই শ্রমিকের সার্বিক জীবনমান উন্নয়ন প্রশ্নে জবাবদিহি করতে হবে।
৪. শ্রমিক ও শিল্প স্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সরবরাহ নিশ্চিতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। এ বিষয়ে মালিকদেরও ভূমিকা নিতে হবে।
৫. সোয়েটার ও পিসরেটে কর্মরত শ্রমিকের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ডাল সিজনে পূর্ণ বেসিক দিতে হবে। সোয়েটারে তিন শিফট ও ওভারটাইম নিশ্চিত করতে হবে।
৬. বৈষম্য নয়, ইপিজেড ও ইপিজেডের বাইরে সমান হারে মূল মজুরির ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে। বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে হবে।
৭. শ্রমিক ছাঁটাই, মিথ্যা মামলা-হামলা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
আরএইচ