ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় আইনের শাসনকে পদদলিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, আজকে যখন বিএনপি এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতারা মানবতা, গণতন্ত্র, আইনের শাসনের কথা বলেন, তখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাহারা খাতুনের ওপর নির্মম নির্যাতনের কথা।
হানিফ বলেন, আজকে তারা (বিএনপি-জামায়াত) মায়া কান্না কাঁদেন। আর সে সময় তারা আইনের শাসনকে পদদলিত করেছিল। হাজার হাজার মানুষকে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।
শনিবার (১৫ জুলাই) আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম অ্যাড. সাহারা খাতুনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ।
মাহবুব উল হানিফ বলেন, লোভ লালসা কখনো সাহারা খাতুনকে স্পর্শ করতে পারেনি। দলের জন্য তিনি এতটাই নিয়োজিত ছিলেন যে, কখনো নিজের ব্যক্তি জীবনকেও প্রাধান্য দেননি। তিনি কখনো সংসার করার সুযোগ পাননি জনগণ ও দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে।
হানিফ আরও বলেন, সাহারা আপার মতো একজন সিনিয়র নেত্রীকে তারা (বিএনপি-জামায়াত) রাজপথে পিটিয়ে আহত-রক্তাক্ত করেছিল। কোথায় ছিল তখন আইনের শাসন? কোথায় ছিল তখন গণতন্ত্র? কোথায় ছিল তখন মানবতা? আজকে আপনারা (বিএনপি-জামায়াত) মানবাধিকারের কথা বলেন, মানবাধিকারের জন্য আপনাদের বুক ফেটে যায়। গণতন্ত্রের জন্য আপনাদের মায়াকান্না হয়। নিজের অতীত ভুলে গেছেন? এগুলো তো ভোলার নয়। সাহারা খাতুন, মতিয়া চৌধুরী, নাসিম ভাই এদের মতো সিনিয়র নেতাদের আপনারা যেভাবে রাজপথে নির্যাতন করেছেন, সেই চিত্র কি দেশবাসী এত সহজে ভুলে যাবে? যারা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবতার কথা মানায় না।
তিনি বলেন, আপনারা (বিএনপি-জামায়াত) বাস, ট্রেনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছেন। রাস্তায় ট্রাকে আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছেন। এই যে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ড করা হয়েছিল, সেগুলোর জন্য মামলা হলে আপনারা বলেন মিথা মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, সে সময় আপনারা কত নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন। ২৬ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন। দেশবাসী কি এগুলো ভুলে গেছে?
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাড. মো. আসাদুজ্জামান দূর্জয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কাজী মো. নজিবুল্লাহ্ হিরু।
আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবদুল্লাহ আবু, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ঢাকা বার শাখার সাবেক সভাপতি অ্যাড. শেখ হেমায়েত হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাড. জগলুল কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাড. আনিসুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ