ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলতে দেখা গেছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে রাজধানীর বনানী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করছিলেন।
নির্বাচন চলার সময় আলোচিত প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ‘হামলার সত্য উন্মোচিত হোক’ এমন দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত এ প্রার্থী।
সোমবার বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আরাফাত বলেন, মুখোশ উন্মোচন জরুরি। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তারা আটক হোক। ইতিমধ্যে যারা আটক হয়েছে তারা সন্ত্রাসী ও ষড়যন্ত্রকারী।
নির্বাচনে জয় কামনা করে আরাফাত আরও বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের একটি বড় অংশে নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে। আমার কাজ এই নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্য দিয়েই শুরু করব। ছয় মাস খুবই অল্প সময়, যতটুকু সম্ভব এর মধ্যে করবো। পরে দলের মনোনয়ন পেলে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখব।
ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে অভিযোগ উঠেছে, আমি চাই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হোক। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে এই অভিযোগ তদন্ত করে বের করার। আওয়ামী লীগের মতো প্রাচীন দলকেও এজেন্ট দিতে বেগ পেতে হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে সব বুঝে এজেন্ট দেওয়া আরও কঠিন। নির্বাচন এলাকায় ৬০০ বুথে ১২০০ থেকে ১৮০০ এজেন্ট দেওয়া লাগে, যা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।
এত পরিশ্রমের পরেও ভোটকেন্দ্রের ভোটার উপস্থিতি কম কেন, জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে নৌকার প্রার্থী বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে গত কয়েক দিনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দিনরাত খেটেছেন, চেষ্টা করেছেন। তারপরও আমাদের আবার একটু পর্যালোচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
টিএ/এনবি/এমজে