ঢাকা: আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট এবং জননিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটালে দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে। এমনটি বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার(২৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, বিএনপির রাজনীতির মূল হাতিয়ার হলো সন্ত্রাস ও মিথ্যাচার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ভূলুণ্ঠিত করে অসাংবিধানিক ও অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের টুঁটি চেপে ধরে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছিল। রাষ্ট্র পরিচালনার নামে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিচার বিভাগকে দলীয় কার্যালয়ের আঙিনায় রূপান্তরিত করেছিল। সেই বিএনপির মুখে আজ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে জনগণের সামনে দাঁড়াচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করার পাঁয়তারা করছে। জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে, বিগত দিনগুলোতে নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা। আর এ লক্ষ্যে তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
কাদের বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিতে উসকানি দিচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে বিএনপির সন্ত্রাসী অপতৎপরতা তত বাড়বে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। বিএনপি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চক্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে এই ষড়যন্ত্রের অপকৌশল থেকে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাই। তা না হলে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করবে। কোনোভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে এবং জননিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটলে তার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
এসকে/আরএইচ