ঢাকা: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বিএনপির মহাসমাবেশ। রাজধানীর নয়াপল্টনে নানা নাটকীয়তার পর সমাবেশের অনুমতি পায় ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা গেছে। দেখা যায়, নয়াপল্টন থেকে পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল হয়ে মৌচাক পর্যন্ত সড়কে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা ছড়িয়ে পড়েছেন। তারা মূলত মিছিল নিয়ে, স্লোগান দিয়ে এসব এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। এখনো বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে-দলে সমাবেশ স্থলে আসছেন তারা।
নাইটিংগেল মোড়ে কথা হয় বরিশাল থেকে সমাবেশে আসা বিএনপির কর্মী সোহেল সরওয়ারের সঙ্গে। বাংলানিউজকে সোহেল বলেন, আমরা ২২ জন এসেছি বরিশাল সদর থেকে। গতকাল রাতেই আমরা ঢাকা এসেছিলাম। আমাদের দাবি একটাই, সরকারের পদত্যাগ। এ দেশের জনগণ আর এক মুহূর্তও এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
ইব্রাহিম হোসেন এসেছেন রাজধানীর বিজয়নগর এলাকা থেকে। কী উদ্দেশ্যে সমাবেশে এসেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দেশের মানুষের প্রাণের দাবি সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা সফল হবোই।
এর আগে গত দুদিন সমাবেশ নয়াপল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নাকি গোলাপবাগে হবে-এ নিয়ে পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়। উচ্চ আদালতের আপত্তি থাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং কর্মদিবসে জনভোগান্তির কারণ দেখিয়ে নয়াপল্টনে বৃহস্পতিবার সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
পরে বিএনপি একদিন পিছিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সমাবেশ করার অনুমতি চায়। বিএনপির ঘোষণার পর আওয়ামী লীগও এক দিন পিছিয়ে শুক্রবার আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্যমেলা মাঠে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার সকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের সমাবেশ হবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। এর কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশও বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়।
এর আগে ১২ জুলাই সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি। এরই মধ্যে এক দফা দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে দুদিন পদযাত্রা করে দলটি।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এমকে/এসআইএস