ঢাকা: আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুব-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ বক্তব্য দিয়েছেন নড়াইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত যুবলীগ কর্মী আজাদ শেখের ভাই সাজ্জাদ শেখ।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশের মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেন সাজ্জাদ।
এসময় ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সাজ্জাদের এই আবেগময় অবস্থায় আশপাশের নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ভাইয়ের হত্যার দিনের কথা উল্লেখ্য করে কাঁদতে কাঁদতে সাজ্জাদ বলেন, সে দিন সমাবেশ শেষে নিজ নিজ বাড়ি ফিরছিলেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু আমার ভাইও বাসায় ফিরেছিলেন, তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায়। ফেরার পথে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন জামাত-বিএনপি নৃশংসভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছিল। আমার ভাইয়ের সন্তানরা হারিয়েছে তাদের বাবাকে আর আমার ভাবি হারিয়েছে তার স্বামীকে। আমার ভাইয়ের ছোটসন্তান বাবা কি সে বুঝে না। আমার মা বাবা হয়েছে সন্তান হারা। আমি হারিয়েছি আমার ভাইকে।
তিনি বলেন, যে স্বজন হারায় সে জানে স্বজন হারানোর কি যন্ত্রণা। ১৯৭৫ সালে স্বজন হারান আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা। উনি জানেন স্বজন হারানোর কি যন্ত্রণা। আমরা আর বিএনপির খুনের রাজনীতি দেখতে চাই না। আমরা আর আমাদের কোনো ভাইকে হারাতে চাই না। আগামী নির্বাচনে এই অপ-রাজনীতি শক্তিকে বাংলার মাটিতে দাফন করব ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি আমার ভাইয়ের হত্যা মামলার বিচার যেন দ্রুত বিচার আইনে হয়।
প্রসঙ্গত, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুন হন ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী আজাদ শেখ (৩০)।
গত ২০ জুলাই খুলনার যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পেড়লী মোহসীন মোড় নামক স্থানে প্রতিপক্ষের লোকেরা তাকে হাতুড়ি আর রড দিয়ে পিটিয়ে দিকে মারাত্মক জখম করেন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজে নিলে সেখানে রাত ৯টার দিকে আজাদের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এনবি/এসএএইচ