ঢাকা: আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুব-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ বক্তব্য দিয়েছেন ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গণধর্ষণের শিকার পূর্ণিমা রানী শীল।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশের মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেন তিনি।
দীর্ঘ ২২ বছর পরে আওয়ামী লীগের সমাবেশ মঞ্চে উঠে পূর্ণিমা রানী শিল বলেন, ‘তারেক রহমান আজ কোথায়? কেমন করে বলেন, মানবতার কথা? আপনার কি লজ্জা হয় না? তারেক রহমান বাংলাদেশের জন্য একটা চর্ম রোগ। তিনি নারী ছাড়া বোঝেন না। এই অ্যালার্জি থেকে মুক্তির উপায় হলো তাদের ঝাড়ু মেরে পাকিস্তানে পাঠানো। ’
তারেক রহমান হাওয়া ভবনে নারীদের নিয়ে আনন্দ ফুর্তিতে মত্ত থাকতেন বলে মন্তব্য করে পূর্ণিমা বলেন, ‘আমি ঘরে ঘরে পূর্ণিমা দেখতে চাই না। আমাদের মান ইজ্জত দিয়ে দিনের পর দিন সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমরা আর চাই না এমন জীবন। ’
তিনি আরও বলেন, আপনারা আমার কথা বোঝার চেষ্টা করেন। খালেদা জিয়া বিএনপির ছেলেদের দিয়ে কি নোংরা খেলা খেলতে পারে আপনারা খুব ভালো বুঝতে পারছেন। তাই এদের ‘না’ বলুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আরও এগিয়ে যাবে। আমরা সুস্থভাবে শুধু ডিজিটাল নয় আরো অনেক কিছু করতে পারব। এখন কিন্তু রাস্তা ঘাটে কোনো মা বোনকে হেনস্তার শিকার হতে হয় না৷ তাই বলি এই অ্যালার্জি থেকে মুক্তির একটাই সিদ্ধান্ত। এদের ঝাড়ু মেরে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, জয় বাংলা এবার জাগবে -নৌকাও থাকবে। যতই মার্কা আসুক না। নৌকা মার্কা ভুলব না। সারাদিন যাই করি না কেন সন্ধ্যা বেলায় ভোটার হিসেবে ভোটটা নৌকাতেই দেব। এটাই ভালোবাসা থাকবে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। আপনাদের প্রতি আমার একটা কথাই থাকবে। আমি যে অন্যায়ের শিকার হয়েছি এই ধরনের অন্যায়ের প্রতিবাদে আমি বার বার আসতে পারি।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাইরে আরও বক্তব্য দেন ‘মায়ের কান্না’র আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেলিন।
এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাহজাহান খান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এবং সঞ্চালনা করছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর রাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব দেলুয়া গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন পূর্ণিমা রানী শীল। সে সময় ১৪ বছরের কিশোরী পূর্ণিমা।
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সময় এ ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় মামলা হয় এবং বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মামলার রায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা করে জরিমানা হয়৷
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এনবি/এসকেবি/এমইউএম/এসকে/এসএএইচ