ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাস্তা বন্ধ করতে এলে বিএনপির রাস্তাও বন্ধ করে দেবো: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
রাস্তা বন্ধ করতে এলে বিএনপির রাস্তাও বন্ধ করে দেবো: কাদের আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপি ঢাকায় প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করতে এলে বিএনপির চলার রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুব লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, এখন নাকি ঢাকার প্রবেশমুখে আপনারা অবস্থান নেবেন। রাস্তা বন্ধ করলে আপনাদের চলার রাস্তাও বন্ধ করে দেব। রাস্তা বন্ধ করতে আসবেন না। চোখ রাঙাবেন না, দেশি-বিদেশি যারাই আজকে চোখ রাঙাচ্ছেন, তাদের বলে দিতে চাই, আমাদের শেকড় এ মাটির অনেক গভীরে। আমাদের চোখ রাঙিয়ে উৎখাত করা যায় না, যাবে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলার জনগণের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি। পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশের বড় অর্জনের নাম শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি অর্জন নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিয় নেত্রী, জননন্দিত নেত্রী।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোথায় দাঁড়াবেন, আমরা ছেড়ে দেব, সংঘাত করবো না, আমরা সংঘাত চাই না। সংঘাতের জন্য এ সমাবেশ করছি না, সমাবেশ করছি ২০১৩ ও ১৪ সালে যারা আগুন দিয়ে সন্ত্রাস করেছিল, তাদের মোকাবিলা করে জনগণের সম্পত্তি ও জানমালকে পাহারা দিতে। শেখ হাসিনার নির্দেশে সেটিই করে যাচ্ছি। যেদিকে তাকানো যায়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

তিনি বলেন, আমাকে কেউ কেউ বলেন, ওরা ডেট দিলে আপনারাও একই দিন ডেট দেন। যিনি বলেন, তাকে সবিনয়ে বলছি ২০১৪-২০১৫ সাল তিনি বোধ হয় দেখেননি। আমরা চুপ করে থাকলে বিএনপি কোন মূর্তিতে আবির্ভূত হয়, সেটা দেখেননি। তাই শপথ নিয়েছি, আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়িয়ে দেব। ভাঙচুর করতে এলে হাত ভেঙে দেব।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আসবেন, শান্তিপূর্ণভাবে চলে যাবেন। সংঘাত পরিহার করতে হবে। আমরা ক্ষমতায়, আমরা কেন সংঘাত করব? আপনারা হতাশ হবেন না। কারও চোখ রাঙানোর পরোয়া বঙ্গবন্ধুর কন্যা করেন না।

তিনি বলেন, আশ্বস্ত করতে পারি আপনাদের... তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, বাবা চলে গেছে, পরিবার চলে গেছে, ভাইয়েরা চলে গেছে, আমিও একদিন হয়তো চলে যাব। কিন্তু, যাওয়ার আগে এই দেশের মানুষের জন্য আমার বাবার স্বপ্ন সফল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব, প্রয়োজনে রক্ত দেব। বাংলার মানুষকে বাঁচানোর জন্য আমার বাবার অঙ্গীকার পূরণ করব। তিনি বিদেশে যান, তিনি কোনো দেশ ভ্রমণ করতে যাননি। গিয়েছেন বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এসকে/এমইউএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।