ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করছে। আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দেশে ভোটাধিকার গণতন্ত্রের কুলখানি করেছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, কিছুদিন আগে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ব্যবসায়ীরা বলেছেন তারা আবার তাকে ক্ষমতায় দেখতে চান। এরা কারা? এরা হচ্ছে ব্যাংক লুটেরা, টাকা পাচারকারী দুর্বৃত্ত। লুণ্ঠনতন্ত্রকে ক্ষমতার সঙ্গে এক করে ফেলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম পানির নিচে ভাসছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, অথচ চট্টগ্রামের উন্নয়নে ১২ হাজার কোটি টাকা বাজেট দেওয়া হয়েছিল। সে টাকাটা লুটপাট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পরিবর্তন কেবলমাত্র একটা আইওয়াশ। পশ্চিমা বিশ্বকে বুঝ দেওয়ার জন্য এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে মৌলিক কোনো পরিবর্তন নেই।
সরকার যত দ্রুত ক্ষমতা ছাড়বে পরিণতি তত ইতিবাচক হবে বলে মনে করছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন অনিবার্য। শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে ক্ষমতা থেকে যেতেই হবে। তারা যত দ্রুত এটা বুঝতে পারবে, ততোটাই ইতিবাচক পরিণতি নিয়ে আসবে। যে পরিমাণ টাকা পাচার তারা (আওয়ামী লীগ) করেছে, সে সম্পদ তাদের ভোগে আসবে না।
দেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের ইতিবাচক ভূমিকা আছে জানিয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন নতুন না। অনেক জোটই এই কাজ করেছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে মঞ্চের পার্থক্যটা হলো, মঞ্চ প্রথম সরকার বদলের বিষয়টি সামনের আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৩
ইএসএস/এমএইচএস